সিরাজগঞ্জে কমছে না অসহায় বন্যার্ত মানুষের আতঙ্ক

পিবিএ,সিরাজগঞ্জ: টানা ৮ দিন বাড়তে থাকার পর সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ধীরগতিতে কমলেও কমছে না নদীপাড়ের অসহায় বন্যার্ত মানুষের আতঙ্ক। বসত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় ভানবাসি মানুষেরা বিভিন্ন ওয়াবদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বাঁধে শোচাগার ও টিউবওয়েল না থাকা চরম বিপাকে পরেছেন তারা। ১৯৮৮ সালের মত বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীরা। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩২ মিটার। যা বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমেছে।

এদিকে, যমুনার পানি ধীরগতি কমাতে প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্তে কিছু স্থানে এখনও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সদর উপজেলার শিমলায় ধ্বসে বিলীন হওয়া পাউবোর সলিড স্পারের অদুরে প্রচণ্ড আঘাতে ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। অপরদিকে শাহজাদপুরের কৈজুরী ও এনায়েতপুরে থেমে থেমে ভাঙ্গন থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এখানকার বন্যাকবলিত মানুষ। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার জানান, শুক্রবার রাত থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে।

আগামী দু’একদিন পানি কমে আবার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুুর রহিম জানান, সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ২২৪টি গ্রামে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২১৭টি পরিবারের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ওইসব এলাকায় ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর আবাদি কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। চলমান বন্যায় ১৮৭টি ঘরবাড়ি এবং ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় প্রায় দুই লাখ ৫৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ভিজিএফ কার্যক্রম চলতে থাকায় আপাতত আলাদা করে বন্যায় সাহায্য দেওয়া হচ্ছে না ।

পিবিএ/সোহাগ হাসান জয়/এসডি

আরও পড়ুন...