ধর্ষণচেষ্টা আসামী দপ্তরি বেতন-ভাতা প্রদানের অভিযোগ

পিবিএ,ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীকে নিয়মিত বেতনভাতা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

রবিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার হাফিজা বেগম। তাকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইসা আকনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জেল হাজতে থাকার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাফিজা বেগম জানান, রাজাপুরের ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইসা আকন তাকে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত বছরের (২০১৯) ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ইসা আকন তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন হাফিজা বেগম। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। এ কারণে শিক্ষা অফিস তার বেতনভাতা বন্ধ করে দেয়। জেল থেকে বের হয়ে ওই নারীকে হত্যার হুমকি দেয় ইসা আকন। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয় তার নামে।

এর পরেও ইসা আকনকে রাজাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের যোগ সাজসে নিয়মিত বেতনভাতা প্রদান করে যাচ্ছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বদলী হয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আরজুদা বেগমও নিয়মিত বেতন ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন ইসা আকনকে। বেতনভাতা প্রদানের জন্য ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কোন সুপারিশও নেওয়া হয়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে এখনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

মামলা নিস্পত্তি না হলেও অবৈধভাবে বেতনভাতা প্রদান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই নারী। বখাটে ইসা আকনকে বরখাস্ত ও তার সঙ্গে যোগসাজসে জড়িত উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

পিবিএ/দুলাল সাহা/এসডি

আরও পড়ুন...