হাতীবান্ধায় ছাত্রী ধর্ষণ,জ্ঞানহীন অবস্থায় ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার

আসাদ হোসেন রিফাত,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের এক ছাত্রী কে ধর্ষনের পর ধান ক্ষেতে ফেলে রাখার অভিযোগ, জ্ঞানহীন অবস্থায় উদ্ধার। থানায় অভিযোগ দায়ের।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের শস্য গুদাম এলাকার বাবুল এর সদ্য এস এস সি পাস মেয়ে (১৮) কে একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ শিপন (২২) বিবাহের প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধার পর তার নিজ বাড়ীর ব্যবহারীর টয়লেটে ধর্ষন করে। তারপর শিপন তার নিজ শয়ন ঘরে উক্ত ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে পুনরায় ধর্ষন করে।

এমতাবস্তায় শিপনের বাবা খলিলুর রহমান ঘটনা টের পেয়ে শিপনের শয়ন ঘরের দরজা খুলতে বললে ঘরের দরজা খুলে দিয়ে শিপন পালিয়ে যায়। তখন খলিলুর রহমান উক্ত ছাত্রীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, বিষয়টি জানতে পায় তার ছেলে শিপন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে এসে ধর্ষন করে।

তারপর শিপনের বাবা খলিলুর রহমান,মা শিল্পি বেগম,চাচা খাইরুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে উক্ত ছাত্রীকে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করে, যখন মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তখন তারা অবস্থার বেগতি দেখে বাড়ীর বাহিরে সদ্য লাগানো একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।

ধান ক্ষেত থেকে জ্ঞানহীন অবস্থায় উক্ত ছাত্রীকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসা ও ধর্ষনের আলামত পরিক্ষার করার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরবর্তিতে উক্ত ছাত্রীর বাবা বাবুল বাদি হয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...