প্রাণের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও জরিমানা

মোহাম্মদ আলম : নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত প্রাণ কোম্পানীর একটি কারখানায় অনুমোদনহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন হচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত জানতে পেরে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও কাঁচামাল ধ্বংস করেছে। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।

বহুজাতিক কোম্পানী হিসেবে প্রাণ আর এফ এল দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রথমসারির প্রতিষ্ঠান। বাজারে প্রাণের অসংখ্য ভোগ্য পণ্য রয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সর্তকতা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। বাজারে ব্যপক চাহিদা। বাংলাদেশের একটি কোম্পানী যদি এটা উৎপাদন ও বাজারজাত করতে আগ্রহী হয়। তাহলে অবশ্যই সরকারি বিধি বিধান মেনেই তা করা উচিত। এভাবে অনুমোদন ব্যতিরেকে উৎপাদন কোনভাবেই কাম্য নয়। তার উপর প্রাণের মত একটি বহুজাতিক কোম্পানী।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অভিযান হলে জনসাধারণ জানতে পারে দেশের ভোগ্য পণ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো কি ধরনের অনিয়ম করছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে যে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছিল তা এখন বেশ দেখা যাচ্ছে। অথচ সরকারের সব রকম নীতিমালাই রয়েছে।

বহুজাতিক কোম্পানীগুলো অনেকক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবসার নামে ডাকাতি করছে। অধিক মুনাফার লোভে এরা সরকারি নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করে না। যখন সারোয়ার আলমের মত সৎ এবং কর্তব্য পরায়ন কর্মকর্তা আসেন তখন দেখা যায় আসল চিত্র। তবে আশার কথা হচ্ছে নৈতকতার মানদন্ডে বাংলাদেশে পরিবর্তন আসছে। প্রশাসনে তরুণ প্রজন্মের কর্মকর্তাদের মাঝে অনেকেই নীতি ও আদর্শ নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

পিবিএ/এমএ

আরও পড়ুন...