মোহাম্মদ আলম : করোনা কাল এখনো চলছে। আশংকার বিষয় হচ্ছে এখন সব শ্রেনীর মানুষ করোনাকে আমলেই নিচ্ছে না। বিশেষ করে কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতা কেহই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না।
সারাদেশে আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে। আজ সকালে নওগার রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাটের চিত্রও তার ব্যতিক্রম নয়।
গতকাল ২৮ জুলাই করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। এটা কি গত কয়েকদিনের কোরবানি হাটে আনাগোনার ফলাফল। এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক না। জনসাধারণের সচেতন হওয়া উচিত। কোরবানির ত্যাগ পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেকে নিজেকে কোরবানি দিচ্ছেন না তো। কোরবানী হাটে ক্রেতা বিক্রেতা সবাইকে আরো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নচেত এর জের ভয়াবহ হতে পারে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতা নুন্যতম মাস্ক পরিধানও করেনি। দূরত্ব বজায় রাখার কোন চেষ্টাই নেই।
গাজীপুরে টঙ্গী, বোর্ড বাজার গরুর হাটেও একই চিত্র দেখলাম। তবে সেখানে ইজারাদার কতৃপক্ষ প্রতিনিয়ত মাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন। যে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সে কথা কারো কানে যাচ্ছে বলে মনে হলো না। টঙ্গীতে ইজারাদার কিছু কিছু মাস্ক বিলিও করছেন।
পশু কোরবানীর মাধ্যমে নিজের ভিতরের পশুত্ব এবং লোভ লালসা ত্যাগ করাই কোরবানির উদ্দেশ্য। একইসাথে এই করোনা মহামারিকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও ধর্মীয় বিধান। এতে নিজেকে রক্ষা এবং অন্যকে সংক্রমণ থেকে বাচতে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার করোনা বিস্তার প্রতিরোধে অনেকটাই সফলতা পেয়েছে। আগামী আরো অন্তত ৩ মাস এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার কর্তব্য। ইনশাআল্লাহ ততদিনে করোনার প্রাদূর্ভাব কমে আসবে। সকলকে স্মরণ করাচ্ছি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
পিবিএ/এমএ