‘আলোকিত প্রতিচ্ছবি মোঃ মিজানুর রহমান’

‘আলোকিত প্রতিচ্ছবি মোঃ মিজানুর রহমান’

তখনও গোধূলির আধার নেমে আসেনি।

পাখিগুলো কোলাহল করে বাড়ি ফিরছিল

নব উদ্দমে রাখার তার পাল নিয়ে দূর পথে মিলিয়ে যাচ্ছে।

ঘোর অন্ধকার না হলেও গ্রামের গাছগুলো বেশ আধার করে রেখেছে চারিপাশ।

সেই আধাঁরের কোলাহল ভেঙ্গে দেখা গেল একটি অচেনা পথিক,

হাতে তার ত্রানের ব্যাগ, পথের দুস্থদের বিলিয়ে যাচ্ছে।

কেউ তার জন্য দোয়া করছে, কেউবা হাতে পেয়ে ফিরেও তাকাচ্ছে না।

যখন দূরত্ব ক্রমশ কমছে,

সন্ধার আলো আধারে কিছুটা স্পষ্ট হচ্ছে মুখাবয়ব-

আমি চমকে উঠি –

সে কেউ নয়, জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান।

স্যার কেমন আছেন, কিন্তু কোন উত্তর নেই,

নিজের কাজেই আবার নিমগ্ন হয়ে রইল।

তার উদাস চাহনিতে মনে হচ্ছে দুস্থদের সাহায্য

করাটা তার কাছে এখন পবিত্র দায়িত্ব।

কাউকে সময় দেওয়ার মতো সময় তার কাছে নেই।

করোনার মহামারিতে মানুষ যখন অসহায়,

এভাবে ছুটে চলেছে ময়মনসিংহে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।

ভরসা জাগিয়েছে অসহায় মানুষদের।

বন্যায় প্লাবিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে

দেবদূতের ন্যায়। কোন বাধাই যেন দমাতে পারেনি।

মানুষের ভিতরে মানুষ গড়ে ওঠে,

মহানুভবতার এই দৃষ্টান্ত, আমরা আবার ঘুরে দাড়াবো।

সৌহার্দ্যতা আমাদের আমার উন্নয়নের পথ আরো দৃঢ় করবে।

আবার প্রাণ চাঞ্চল্যে এই বাংলা ভরে উঠবে ।

মানবতা সৌহার্দ্যতা আমাদের জীবন সংগ্রামে

নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়, সমৃদ্ধির ঠিকানায়।

 

লেখকঃ মোহাম্মদ খায়রুল আলম

আরও পড়ুন...