পিবিএ,কুবি: শীতকালের অন্যতম এক অনুষঙ্গ পিঠাপুলি। আবহমান গ্রাম বাংলার নানারঙ ও বাহারের পিঠাপুলি যে কারও নজর কাড়ে নিঃসন্দেহে। নান্দনিক ও মজাদার সেসব পিঠাপুলি নিয়েই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাংলা বিভাগে ‘পিঠা পার্বণ- ১৪২৫’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা বিভাগের করিডোরে বিভাগের বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীদের নিজহাতে বানানো বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি এই আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল।
বিভাগীয় সভাপতিসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এ সময় তিনি উৎসবস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীদের পিঠার আয়োজন ও সঙ্গীতানুষ্ঠান উপভোগ করেন।
চমৎকার এই আয়োজনের মধ্যে ছিলো নানা প্রজাতির নকশি পিঠা, পায়েস, ফিরনি; ফুল, দুধপুলি, মেরা, পুলি, ভাপা, নারিকেলপুলি, দুধচিতই, শামুক, ডাল, মালপোয়া, বড়া পিঠাসহ বাহারি রঙ ও ডিজাইনের প্রায় ৫০ প্রজাতির পিঠা ছিলো এই উৎসবে।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান; বিভাগের সভাপতি শামসুজ্জামান মিলকী, সহযোগী অধ্যাপক ড. তসলিমা খাতুন এবং প্রভাষক সাদিয়া আফরোজ সিফাত ও নূর মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।
উৎসবমুখর এই আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব ও ফটোসেশনের মাধ্যমে আয়োজনের ইতি ঘটে।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলা বিভাগের সভাপতি শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বাংলা বিভাগ সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করে। পাঠ্যসূচির পড়াশোনার বাইরেও আমরা প্রায়ই এমন আয়োজন করে থাকি, যাতে বাঙালিয়ানা উপভোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারে। আগামীতেও আমরা এ ধরনের আয়োজন করতে সচেষ্ট থাকবো।’
পিবিএ/ এমকে/জেডআই