২০০০ বছরের পৌরাণিক বৌদ্ধ মুর্তি পর্যবেক্ষন

নয়ন চক্রবর্তী,বান্দরবান: বান্দরবানে ২০০০ বছরের পৌরাণিক বৌদ্ধ মুর্তি পর্যবেক্ষন করলেন বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর।

রবিবার (১৬ আগষ্ট) সাড়ে ১২ টায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের ৪ জনের একটি দল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ পর্যবেক্ষণ করেন।

সুত্রে জানাযায়, বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধমূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে। মায়ানমারের আরাকান থেকে এই মূর্তিটি তৎকালীন সময়ে বান্দরবানে নিয়ে আসা হয়। পরে এটি বোমাং সার্কেলের ৯ম বোমাং রাজা বোমাংগ্রী সানাইঞো মূর্তিটি রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষণ করেন। ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধমূর্তি টি কত পুরনো তা নির্ধারণে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সদস্যরা বান্দরবানে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। তারা পুরনো বুদ্ধমূর্তিসহ বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। জানা যায়,মায়ানমারের আরাকান রাজ‍্যের সে সময়ের রাজা চন্দ্র সূর্যের সময়ে বুদ্ধমূর্তি তৈরি হয় বলে তারা বংশ পরস্পরায় শুনেছেন। তবে সেখান থেকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মূর্তিটি বান্দরবানে নিয়ে আসেন। পরে নবম বোমাগ্রী সানাইঞো মূর্তিটি তার কাছ থেকে নিয়ে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে স্থাপন করেন। বান্দরবান শহরের জাদি পাড়া এলাকায় ১৮৯৪ সালে তৎকালীন বোমাং রাজা রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারটি স্থাপন করেন। এ মূর্তিটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র।
বাংলাদেশ এ ধরনের তিনটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। যার মধ্যে একটি বান্দরবান রাজগুরু বুদ্ধ বিহারে সংরক্ষিত আছে।

এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা,বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর হতে ডঃ মোঃ আতাউর রহমান, আঞ্চলিক পরিচালক ঢাকা বিভাগ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর এর নেতৃত্বে ডঃ মোহাম্মাদ সোহরাব উদ্দিন সহকারি অধ্যাপক প্রত্নতত্ব বিভাগ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,মিসেস শারমিন রেজোয়ান প্রভাষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,জনাব শাহিন আলম ফিল্ড অফিসার প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর চট্রগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগ,রাজগুরু বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেএসএস (মূল) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএসমং, রাজগুরু বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটির অন‍্যান‍্য সদস‍্য বৃন্দ,রাজপরিবারের সদস‍্যগণ ও মারমা সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...