আবহাওয়া অনুকুলে পাটের ফলনে সস্তোষ কৃষকরা

ওবায়দুল ইসলাম রবি,রাজশাহী: গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের মৈসুমে রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় কৃষকরা পাট চাষে ভাল ফলন পেয়েছে। পাট বিক্রয় করে প্রত্যাশিত মূল্যে পাচ্ছে কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তন বা পাট মৈসুমের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। দীর্ঘদিনের চলমান নিয়মে জেলা কৃষি ও উপজেলা কৃষি দপ্তর মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছে। ব্যাতিক্রম এই করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে যথাসময়ে ফসলের মাঠে কৃষকদের প্রশিক্ষন ও পরামর্শ ব্যবস্থা করেছে কৃষি দপ্তর। দেশ ও জাতির খাদ্য দ্রব্য নিশ্চিতের লক্ষে কৃষি দপ্তরের সকল কর্মকর্ত ও কর্মচারীদের কর্মসূচী অব্যহত আছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ডিডি) সামছুল হক।

জেলার ৯ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকদের তথ্য মতে, করোনকালে দেশটা একটি নিস্তব্ধতায় অবস্থান করছে। আবহাওয়া যেন তার প্রান ফিরে পেয়েছে। বহু বছরের ব্যবধানে মৃদু হাওয়া এবং ষড় ঋতুর আগমনে প্রকৃতির অরণ্য, মাটি ও পানির আলিঙ্গন হয়েছে। পাট মৈসুমে আবহাওয়া, পানির স্বল্পতা থাকে এবং পোঁকা মাকড়ের উপদ্রব থাকে। কিন্ত এবারের মৈসুমে কৃষকরা কোন কিছুর অভাব এবং পাঁকা মাকড়ের উপদ্রব বুঝতে পারেনি।

বর্তমান কৃষকরা পাট প্রস্তুত করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে। ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র পাইকার ব্যবসায়ীরা সাইকেল ও ভ্যান যোগে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পাট সংগ্রহ করছে। এবিষয়ে কৃষকরা বলছেন, পাট প্রস্তুতী শেষ না হতেই তাঁদের নিজ বাড়ি থেকে পাট সংগ্রহ করছে পাইকাররা। কৃষকদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা মন দরে ১ বেল পাট ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করছে। যার কারণে কৃষকরা বেশ সন্তোষ আছে। জেলার গোদাগাড়ি, তানোর, মহনপুর, বাঘমারা, পবা, দূর্গাপুর, পুঠিয়া,বাঘায় উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে। তবে চারঘাট উপজেলায় পাট চাষ তুলনা মূলক বেশি হয়েছে। এবছর ১ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯০৫ টন। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খন্দকার ফিরোজ মাহমুদ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুতফুন নাহার।

সোমবার সকালে জেলা কৃষি প্রশিক্ষন কর্মকর্তা মুঞ্জরুল হক ভোরের কাগজেকে বলেন, জেলার পাট চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৪ হাজার ১৭০ হেক্টর কিন্ত ১৪ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। যার সম্ভাব্য ফসল উৎপাদন ধারা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫০০ বেল বা ৩৩ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। খাদ্য দ্রব্য মানবদেহের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব রয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু খাদ্য পরিমানের চাহিদা পরিমাপ টার্গেট করেই রাজশাহীসহ দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় চাষাবাদ করা হয়। কৃষি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় সকল জেলার কৃষি দপ্তরের পরিচালনায় কৃষকদের উন্নত ফসল উৎপাদনে কাজ করে কৃষক। প্রতি বছর মৈসুমে ধান, গম, ভুট্রা, পাট ও রবি শষ্যে কৃষকদের উন্নত জাতের বিজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহসহ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে চাষাবাদের ব্যবস্থা দেয়া হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকে

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...