পিবিএ,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা থেকে অপহৃত শিশুকে নেত্রাকোনার বাহাট্টা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভারপাপ্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া এক প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে এ সব তথ্য জানান।
আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপহৃত শিশু আল ওয়াসির কে তার চাচাতো বোনের কথিত প্রেমিক নাহিদ (২০) গত ৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১ টার দিকে অপহরণ করে। আল ওয়াসিকে না পেয়ে তার মা গোপালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অপহরণের দিন সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা শিশুর মাকে ফোন করে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে অনেক আকুতি মিনতির পর ৫ লাখ টাকায় অপহরণকারীরা রাজি হয়।
অপহৃত শিশুর চাচার মাধ্যমে টাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলে অপহরণকারীরা পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্যে করে স্থান পরিবর্তন করে। পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে অপহরণকারীরা ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল ভিন্ন ভিন্ন স্থানে টাকা নিয়ে আসতে বলে। পরবর্তীতে অপহরণকারী নাহিদের কথা মত মধুপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিউল আলমের নেতৃত্বে গোপালপুর থানা পুলিশ এবং মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি কামরান হোসেনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য লিখন ও সুমনকে মধুপুরের বেলকুচি গ্রামের বংশাই নদীর পাড় থেকে মুক্তিপণের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্যনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে অপহরণকারী অন্য সদস্য সজীব (২০) অপহৃত শিশু ওয়াসিকে নিয়ে তার বোনের বাড়ি নেত্রকোনায় অবস্থান করছে। অপহরণকারী সজীবের বড় ভাই কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায় তার বোন জামাই রুবেলের বাসায় অপহৃত শিশুকে রেখে সজিব পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে নেত্রকোনার বাহাট্টা থানা পুলিশের সহযোগীতায় শিশু আল ওয়াসীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর অপহরণকারী সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পিবিএ /টিএ /হক