ধুনটের হাট-বাজারে রোপা-আমন ধানের চারা বিক্রির ধুম

পিবিএ, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাঠে মাঠে রোপা-আমন ধান রোপনের ধুম পড়েছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হলেই দল বেঁধে কৃষক ছুটে চলছে মাঠের প্রাণে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। একারনে এই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারনে অনেক বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় ধানের চারার দামও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানাগেছে, এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি সেচ ছাড়াই এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। এখানকার কৃষকরা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোপা আমন ধানের চারা লাগাতে থাকেন।

উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা দল বেধে ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবুজ ধানের কচি চারায় ভরে উঠছে মাঠ।
চৌকিবাড়ী গ্রামের ধান চাষী আলাউদ্দিন শেখ ও চিকাশী ইউনিয়নের কৃষক আজিবর রহমান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে নিচু জমি তলিয়ে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এবছর ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ধানের চারার দামও বেড়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার এলাঙ্গী হাটে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক ও বেপারীরা বিভিন্ন জাতের ধানের চারা নিয়ে হাটে এসেছেন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাও দূর-দূরান্ত থেকে হাটে এসে চারা সংগ্রহ করছেন।
ধানের চারা বিক্রেতা মজিবর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘা জমির জন্য ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এহাটে স্বর্ণা-৫, ব্রি-ধান ৪৯, ব্রি-ধান ৫১, ব্রি-ধান ৫২, পরশ ও রঞ্জিত সহ আরো নতুন নতুন বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি হচ্ছে।

রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক রতন মন্ডল বলেন, এক বিঘা জমির জন্য স্বর্ণা-৫ ধানের চারা ক্রয় করেছি ১ হাজার ৪০০ টাকায়। তবে গত বছর এই ধানের চারাই ৯০০ টাকায় ক্রয় করেছিলাম।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, চলিতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপন করেছেন কৃষক। আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারনে অনেক কৃষকের নিচু জমির বীজতলা তলিয়ে নষ্ট হলেও ধানের চারার তেমন কোন সংকট নেই।

পিবিএ/ইমরান হোসেন ইমন/এসডি

আরও পড়ুন...