টঙ্গীবাড়িতে বাশের সাকোঁই এখন পারাপারের প্রধান মাধ্যম

পিবিএ,টঙ্গীবাড়ি(মুন্সীগঞ্জ): টঙ্গীবাড়ি উপজেলার যশলং ইউনিয়নের পুরা বাজারের বেইলি ব্রিজটি গত তিন মাস আগে মালবাহী ট্রাক সহ ভেঙ্গে যাওয়ায় তিন মাস ধরে বাশেঁর সাকোই এ এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম।

গত ২ জুন সোমবার সকাল আটটার দিকে ঢাকা-দিঘীরপাড় সড়কের যশলং ইউনিয়নের পুরা বাজার বেইলী ব্রিজ কাঠের গুড়ি ভর্তি ট্রাকসহ ধসে পড়ে। এতে করে উপজেলার দিঘীরপাড় ও আশপাশের এলাকার সাথে উপজেলা প্রোপারের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দিঘিরপাড় ও এর আশপাশ ছাড়াও শরিয়তপুর জেলার বেশ কিছু এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকার মানুষ নানাভাবে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীতে পড়েছে। ভরা বর্ষার মৌসুমে করোনার প্রাদুর্ভাবে যেখানে জনজীবন বিঘ্নীত সেখানে বাশের সাকোতেই পার হতে হচ্ছে। দিঘীরপার কালিবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচলের প্রধান সড়কটি ভেঙ্গে পড়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ব্যপক ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে আমজনতাকে। পুরা গ্রাম সহ আপশাপশের ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রামের মানুষ যানবাহন যোগে উপজেলা প্রোপারে প্রবেশ করতেন। কিন্তু বর্তমানে বাশের সাকোতে ঝুকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে।

স্খানীয়রা জানান, ব্রিজটি বেশ পুরোনো ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল পারাপারের জন্য একটা সুরাহা করে দিবেন কিন্তু তাদের আর কোনো খোজ মেলেনি। আমরাই বাশেঁর সাকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছি। কি আর করবো ব্রিজটি তৈরি করতেওতো অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আমাদের পাশে দাড়িয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করে দেয়া। কিন্তু তাদের কোনো খোজখবর নেই।

তৎকালীন সময়ে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল,৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের বেইলি ব্রিজটি বহু বছরের পুরোনো। এটির মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে ছিল। নতুন ব্রিজ প্রতিস্থাপন করা হবে। এ জন্য বেশি সময় লাগতে পারে।

পিবিএ/মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এসডি

আরও পড়ুন...