দরিদ্র চাচা উবাইদুল্লার কাছেই মানুষ হচ্ছে সুমাইয়া সহ আরো ২বোন

পিবিএ,তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের মৃত মোঃ শহিদুল্লাহ্(৩০)’ টিবি রোগে মৃত্যূবরণ করার সময় তিন মেয়ে রেখে ২০১৮ সালে মারা যান। তার মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে তিন, সুমাইয়া আক্তার (৬), হুমায়রা(৪), সাইয়িবা(২) মেয়েকে চাচা মোঃ উবাইদুল্লাহ্(২৬) এর কাছে রেখে মাতাঃ সিমা আক্তার আরেকটি বিয়ে করে চলে যান আরেক স্বামীর বাড়ি। চাচা উবাইদুল্লাহ্ স্থানীয় এক মুদি দোকানদার। চাচার পরিবারে দুটি ছেলেও আছে। বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার(৬) কলুমা বাবুল উলুম কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। তাদের দাদীর(৬৫) উপর পরেছে তাদের সকল দেখাশুনার দায়িত্বে তিনি।দাদী বৃদ্ধ মহিলা এই বয়সে উনিই হয়তো অন্য কারো সেবা পাওয়ার কথা কিন্তু উনিই তাদের দেখাশুনায় ব্যস্ত। বুড়ো বয়সে নাতী নাতনীদের দেখাশুনায় এখনো ব্যস্ত তিনি। চাচা উবাইদুল্লাহ্ একটি সামান্য মুদি দোকানদার। ভাইয়ের তিনটি মেয়ে ও নিজের দুটি ছেলেকে সহ মোট ৫ জন সন্তানাদী নিয়ে অনেক কষ্টে তিনি সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কষ্টে সংসার চালিয়ে ভাতিজী সুমাইয়া আক্তার (৬) কে পড়াশুনা কতদুর করাতে পারবেন সেটাও ভাবার বিষয়। করোনার ওই মহামারিতে কষ্টেই দিন কাটাতে হচ্ছে পরিবারটিকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এখনো পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ করেন উবাইদুল্লাহ্।

এবিষয়ে চাচা উবাইদুল্লাহ্ জানান, আমার ভাই মারা যায় ২০১৮ সালে। এতিম তিনটি মেয়ে বাচ্চা মানুষ করার দ্বায়িত্ব আমিই নিয়েছি। ছোট্রো একটি মুদি দোকানের সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানোটাই কঠিন হয়ে পরেছে। আমাদের দেশের সরকার অসহায় এতিমদের তো অনেক সহযোগিতা করতাছে, যদি আমাদের পাশে দাড়াতো খুই হইতাম। বাচ্চাগুলোকে মানুষ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। তবুও শরিলে যতদিন রক্ত আছে ততদিন বাচ্চাগুলোকে মানুষ করার কাজ চালিয়ে যাবো। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের দিকে একটু নজর যেন দেন।

পিবিএ/মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এসডি

আরও পড়ুন...