ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ১৩৪৪ যাত্রী পারাপার

পিবিএ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের মধ্যে গত ৬ মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকেপড়া ১ হাজার ৩৪৪ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে নিজ দেশে গমনাগমন করেন। চলতি বছরের ৪ মার্চ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত এসব পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজ দেশে ফিরেছেন।আটকেপড়া উভয় দেশের পাসপোর্টধারীরা চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ভিসায় নানা কাজে গিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের লকডাউনের কারণে উভয় দেশে আটকা পড়েন।

আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী এএসআই মোরশেদুল হক তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত সরকারের ঘোষিত দফায় দফায় লকডাউনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আটকেপড়াদের অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্য। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং আটকেপড়া পর্যটকরাও এ সময়ে নিজ দেশে ফিরেছেন।আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ভারতে আটকেপড়াদের মধ্যে গত ৬ মাসে (৪ মার্চ-২২ আগস্ট) আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন ৯০৪ জন পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি। এ সময়ে চার দফায় বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ফিরে যান ৪০০ জন ভারতীয় নাগরিক। এ ইমিগ্রেশন সীমান্ত পথে অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ৩১ জন বাংলাদেশি ভারত গমন করেন। এদিকে মিনিস্ট্রি আদেশ কপির অনুমতি নিয়ে ৯ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের এসআই আবদুল হামিদ জানান, এ পথে যেসব বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি দল এসে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যান। তবে এখনও এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে স্বাভাবিক যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।

পিবিএ/কাজী সুহিন/এসডি

আরও পড়ুন...