পিবিএ,জামালপুর: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ছেলের অপমৃত্যুকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলার গুণারীতলা ইউনিয়নে জোনাইল নয়াপাড়া গ্রামে নূর হকরে ছেলে ৬ আগষ্ট আলমগীর নামে এক ব্যক্তি স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুকে আলমগীরের মা প্রতিপক্ষকে হত্যা মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লাশের ময়নাতদন্ত অপমৃত্যু রিপোর্ট পাল্টে হত্যা করার মর্মে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমগ্র গ্রামবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
অপরদিকে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় মাদারগঞ্জ উপজেলা গুনারীতলা ইউনিয়নের জোনাইল নয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে জানাযায়,গত ৬আগষ্ট সকালে নূর হকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)স্ট্রোকে করলে তাকে মাদারগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতে যান পরিবারের সদস্যরা।ঐ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।লাশ দাফন না করে জামালপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ৬ আগষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আলমগীরের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।পরে বাড়ীতে নিয়ে লাশ দাফন করে কবর দেওয়া হয়।
গতকাল রবিবার ২৩আগষ্ট স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়,নূর হক ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম অত্যান্ত লোভী পরায়ন চঞ্চল ব্যক্তি।জোনাইল নয়াপাড়া গ্রামে তার ব্যাপক সংঘর্ষের নাটকীয় অভিনয়ের ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে নূর হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম অপমৃত্যু কে পুঁজি করে টাকার বিনিময়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাল্টে হত্যার চক্রান্ত মেতে উঠেছে।
নয়াপাড়া গ্রামের এক কৃষক নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জানিয়ে বলেন আলমগীর স্ট্রোকে মারা গেছে,সংঘর্ষে আঘাত পাইনি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নিরীহ শান্তি প্রিয় জালাল ফকির, জয়নাল,রশিদ, আনেছা বেগম,সুমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পিবিএ/মশিউর রহমান টুটুল/এসডি