নাসিরনগরে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে ৬ জনকে পিটিয়ে আহত

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোরআনে হাফেজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে না পেরে ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা নাসিরনগর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ আগষ্ট ২০২০ রোজ মঙ্গলবার ভোর অনুমান সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর দক্ষিণ গ্রামে। ঘটনার বিবরণে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোঃ নুরু মিয়া একজন নারী লিপ্সু। গ্রামের অসহায় ও দুর্বল বিভিন্ন নারীদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকে। এই নিয়ে তার বিরুদ্ধ বেশ কয়েকটি শালিস দরবার হলে জরিমানা দিয়ে সমাধান করে।

ঘটনার দিন ভোর সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী কোরআনে হাফেজের স্ত্রী আলেমা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে পূর্ব থেকে উৎপেতে বসে থাকা নুরু মিয়া আলেমার বসত ঘরে চুপিসারে প্রবেশ করে আলেমার মুখে কাপড় চেপে ধরে আলেমাকে জোর পূর্বক চৌকির উপর ফেলে পড়নের কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে ছিড়ে ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। এ সময় আলেমার চিৎকারে অন্য ঘরে থাকা লোকজন এসে নুরু মিয়াকে হাতে নাতে ধরে আটক করে ফেলে। খবর পেয়ে নুরু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, সুজন, মিয়া, সোহাগ মিয়া, স্ত্রী হোসনা বেগম ও তাদের সাথে আরো বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দা, লাঠি, বল্লম, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অর্তকিত ভাবে আলেমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে তার স্বামী হাফেজ শামছুল হক,রোকেয়া বেগম, মরিয়ম বেগম, আরেক শারীরিক প্রতিবন্ধী শাফিয়া বেগম, মাহমুদা বেগম,ও আলেমাকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে নুরু মিয়াকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা নাসিরনগর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাধধীন রয়েছে। বর্তমানে নুরু মিয়ার লোকজনের অব্যাহত হুমকিতে হাফেজ শামছুল হক ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতা ভোগছে।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...