শিশু পুত্রসহ নিখোঁজ হওয়ার ২দিন পর বাবার লাশ উদ্ধার

পিবিএ,নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীর কালনা ফেরিঘাট এলাকায় প্রবল স্রোতে কারণে ট্রলার থেকে পড়ে পুলিশ সদস্য ও তার শিশু পুত্র নিখোঁজ হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ দু’জন হলেন, পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ান (৩০) ও তার শিশুপুত্র আনাস( ৬ মাস)। আবু মুসা পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে কালনা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ২ কিঃ মিটার দক্ষিণে মহিষাপাড়ার-করফা এলাকায় মধুমতি নদীতে পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ান লাশ ভেসে উঠে । পরে এলাকাবাসীর কাছে সংবাদ পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও লোহাগড়া ফায়ার কর্মীরা নদী থেকে তার লাশ উদ্বার করে । শিশুপুত্র আনাস( ৬ মাস) লাশ এখনও পাওয়া যায়নি ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ মোল্লার ছেলে। পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ান তার স্ত্রী, পুত্রসহ আটজন আত্মীয়-স্বজন কে নিয়ে শুক্রবার বিকালে মধুমতি নদীর ওপর নির্মানাধীন কালনা সেতুর চলমান কাজ ট্রলারে করে দেখতে যান । এ সময় নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় আসলে ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে। নদীর প্রবল স্রোতে তোড়ে ট্রলারটি সেতুর ৬নং পিলারের সাথে জোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় মুসার কোলে থাকা শিশু পুত্র আনাস নদীতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করার জন্য মুসা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর থেকে শিশু পুত্রসহ পিতা মুসা নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ট্রলারে থাকা মুসার স্ত্রীসহ পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে অন্য একটি ট্রলারে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ পিতা পুত্রের কোন সন্ধান পায়নি।

লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ রানা জানান, শনিবার ভোর থেকে উদ্ধার করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা অঞ্চলের সাত সদসস্যের ডুবুরি দল ও বরিশাল থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল বিকাল পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। রবিবার সকাল ৯টার দিকে কালনা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ২ কিঃ মিটার দক্ষিনে মহিষাপাড়ার-করফা এলাকায় মধুমতি নদীতে পুলিশ কনস্টেবল আবু মুসা রেজওয়ান লাশ ভেসে উঠে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পিবিএ/শরিফুল ইসলাম/এসডি

আরও পড়ুন...