ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি

মেজবাহুর হিমেল,রংপুর: ব্যবসায়ীকে মারধর দোকান ভাংচুর ও অস্ত্র বুকে লাগিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনায় রসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় রংপুর মেট্রেপলিটন হারাগাছ থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। গত মঙ্গল রাতে থানার সামনে উত্তাল জনতার শ্লোগানে জমা হয় শতাধিক জনতা। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শেষে মামলা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ফিরে যায় এলাকাবাসী। রসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্রী হারাধন রায় হারা’র বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের দাবীতে চওরার হাট এলাকায় এর আগে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী চা ব্যবসায়ী বাংটু মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ভাই রংপুর মহানগর আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান মানিক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়। গত ১৮ আগষ্ট চওরারহাটে একটি সন্ত্রাসী চক্র মান্নান মিয়ার নেতৃত্বে চান মিয়া, মিলন মিয়া, আখিফুলসহ আরো ৪/৫ জন জৈনক্য আক্তারুজ্জামানের পথরোধ করে মারধর, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা চিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আক্তারুজ্জামান ঘটনার বিবরণ দেখিয়ে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ব্যবসায়ী বাংটু মিয়াকে ৩নং স্বাক্ষী করা হয়।

রসিক কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ৪ সেপ্টেম্বর চওরারহাট এলাকায় বাংটু মিয়ার চায়ের দোকানে হারাধন রায় হারার নেতেৃত্বে একটি কারগাড়ি ও ৪/৫টি মটর সাইকেলে যোগে ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসী এসে হাজির হয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই হারার হুকুমে বাংটু মিয়াকে এলোপাতারী মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি রক্তার্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পড়ে। সে সময় হারাধন রায় হারা তার সাথে থাকা পিস্তুল বের করে বাংটু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করতে ধরে। লোকজন উপস্থিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় বাংটু মিয়ার থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে রংপুর নগরীর চওয়ার হাট এলাকায় মানব বন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী। পরে রাতে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে শ্লেগান দেয় এলাকাবাসী হারার হাতে অস্ত্র কেন প্রশাসন জবাব চাই।

মাদক ব্যবসায়ী হারার বিরুদ্ধে মামলা নিতে হবে। এই সময় বক্তরা বলেন, এর আগেই কাউন্সিলর হারার নামে একটি অস্ত্র মামলা চলমান আছে।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর হারার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রিমহল মিথ্যা প্রচারণা করে আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
রংপুর হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার্স ইনচার্জ রেজউল করিম বলেন, বিষয়টি উপর মহলের নজরে দেয়া আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিবিএ/মেজবাহুল হিমেল/এসডি

আরও পড়ুন...