স্বামী পর্দা করতে নিষেধ করলে নারীরা কী করবেন?

পিবিএ,ডেস্ক: পর্দা ফরজ ইবাদত। পর্দা করা প্রত্যেক মুমিন নারী পুরুষের জন্য ফরজ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বামী দ্বীনদার না হওয়ার কারণে স্ত্রীকে পর্দা বা হিজাব পরতে দেয় না। আবার অনেক নারী পারিবারিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্দা করতে পারে না। এ কারণে দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। অশান্ত হয়ে উঠে পারিবারিক পরিবেশ। সেক্ষেত্রে স্বামী বা পরিবারের নিষেধাজ্ঞায় স্ত্রী কী করবে? সে কি স্বামী বা পরিবারের কথা মতো পর্দা বা হিজাব পরা ছেড়ে দেবে? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী?

পর্দা ফরজ ইবাদত তথা মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। যে কেউ পর্দা করতে নিষেধ করলে সে নির্দেশ মেনে আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধানের অমান্য করা যাবে না। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوْقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ اللهِ عَزِّ وَ جَلَّ

‘আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করে কারও আনুগত্য চলে না।’ (মুসনাদে আহমাদ)

যেসব দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্দা করা নিষেধ নয় কিংবা সামাজিক ও পারিবারিকভাবেও নিষেধ নয়, সেসব পরিস্থিতিতে স্বামী বা ব্যক্তি বিশেষের কথায় পর্দার বিধান ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ ক্ষেত্রে করণীয়

পর্দা করা বা হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞায় স্বামী বা পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এ থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা বা বিধানের উপর আমল করার পাশাপাশি যা করবেন-

– প্রথমত স্বামী বা পরিবারকে দ্বীনের পথে আনার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবে।

– স্বামী বা পরিবারের মন-মানসিকতার দিকে লক্ষ্য রেখে হেকমতের সঙ্গে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করবে।

– যথাসম্ভব বেশি বেশি তাদের খেদমত করার চেষ্টা করবে।

– তাদের আদর-যত্ন ও আরাম-আয়েশের দিকে নজর দেবে।

– ইসলামিক স্কলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

– পরিবারের সদস্যদের বই-পত্র পড়ার অভ্যাস থাকলে দ্বীনি বই পত্র সংগ্রহ করে তা পড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

– দ্বীনি পরিবেশ ও আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।

মানুষের কোনো সৎ চেষ্টা আল্লাহ তাআলা বিফল করেন না। ভালো নিয়তে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করলে আল্লাহ তাআলা তাতে সফলতা দান করবেন।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...