লোভী বাঘের গল্প

আফসানা মীম তানহা: এক ছিল বাঘ, এক ছিল বিড়াল আর এক ছিল ছোট্ট একটা বাবু। বাবুটা এক্কেবারে ছোট্টো। বিড়াল এসে প্রতিদিন বাবুটার ঘুমের সময় তার পায়ের কাছে ঘুমাতো। বাবুর মা বিড়ালটাকে খেতে দিত। বিড়াল কোথাও যেতো না। বাবুর গা ঘেঁষে থাকতো। বাবুকে খাওয়ানোর সময় চুপ করে থাকতো। কোন দুষ্টুমি করত না। এই করে করে বাবুটা একটু বড় হল।

একদিন হঠাৎ করে বিড়ালটা হারিয়ে গেল। কোথায় হারিয়ে গেল কেউ জানতে পারল না। বাবুর আব্বু আম্মু খুব খোঁজাখুঁজি করলো, কেউ বিড়ালটার সন্ধান দিতে পারল না।

এদিকে বিড়ালটা পথ ভুলে হাঁটতে হাঁটতে বিরাট এক বনের ভেতর চলে গেল। বনে ছিল ইয়া বড় এক বাঘ। বাঘ বিড়ালকে দেখেই তেড়ে এলো। বিড়াল তাকে খালা বলল, পিসি বলল তবু দুষ্টু বাঘের দয়া হলো না। বনের ভেতর বিড়ালটাকে আশ্রয় দিল না। খেতে দিলো না। কামড় দিয়ে উল্টো বাঘ বিড়ালটাকে খেতে এল। বাঘ বিকট হুংকার দিয়ে বিড়ালটার উপর হামলে পড়ল। উপায় না দেখে বিড়াল গাছে উঠে গেল। কিন্তু বাঘ গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকলো, গাছে উঠতে পারল না। কি করে সে গাছে উঠবে? গাছে ওঠা শিখেনি সে। বিড়াল গাছের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে বাঘের গায়ে ফেলল আর মিউ মিউ করে ডাকতে ডাকতে, এ ডালে ওডালে হাঁটতে-হাঁটতে আনন্দ করতে লাগলো।

বাঘ কতক্ষণ ঘুরেফিরে বিড়ালকে বলল -‘বিড়াল মাসি, আমাকে গাছে ওঠা শিখাও। আমি তোমাকে কিচ্ছু করবোনা। একসাথে আনন্দ করবো, খাব, বনের ভেতর ঘুরে বেড়াবো।’ কিন্তু বিড়াল বাঘকে বিশ্বাস করল না। গাছে উঠানো শিখালো না।লোভী বাঘ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ করতে থাকলো।*

লেখক: আফসানা মীম তানহা

অনুলিখন : অ আ আবীর আকাশ (বাবা)

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...