পিবিএ,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ): এটা কোন জলাশয় বা পুকুর নয়। দেখলে মনে হবে জলাশয়। কিংবা বন্যায় প্লাবিত এলাকা,বা ময়লা রাখার স্থান অথবা পুকুর। এটা হলো বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। সেখানে প্রায় তিন শতাধিক কুমলমতি শিশু শিক্ষার্থী পড়াশোনা পাশাপাশি খেলাধুলা করে। তবে সেখানে খেলাধুলার সুযোগ নেই। সেখানে খেলা করে হাঁসের, ফেলা হয় ময়লা। গত বছর এই মাঠে মাছ চাষ করেছেন বলে জানিছের ইউনিয়নের পাচখাঁহনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে চাবিক্রয়তা জুলহাস মিয়া। বছরে প্রায় ছয় মাস খেলাধুলা থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত থাকলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
এটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। ছয় মাস ধরে পানির নিচে থাকায় বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা। ২০০৬ সালে নির্মিত হয় স্কুলের এই ভবনটি। নির্মানের পর প্রায় ১৪ বছর ভোগান্তিতে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। করোনায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না।
যদি স্কুল খোলা থাকতো তাহলে আজ ভোগান্তিতে থাকতো শিক্ষার্থীরা। কোমর পানি ভেঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে এই বিদ্যালয়ে। মাঠটি খানিকটা নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে ছয় মাস ধরে পানির নিচে ডুবে থাকে। আর ছয়মাস নিচু গর্তের মত থাকে। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি।
এছাড়াও এবিষয়ে পত্র-পত্রিকায় বিস্তর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন ‘বছরের ছয়-সাত মাস মাঠে হাঁটুপানি জমে থাকে। ছোট্র শিশুরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারে না। স্কুলে এসে সারা দিন কক্ষে বন্দী হয়ে থাকতে হয়।’এখন করোনায়,বন্ধ তাই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেনা, গত চার বছর ধরে পত্র পত্রিকায়,লেখালেখি হইতাছে কই কিছুই হয়না,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম মোঃ হাবিব উল্লাহ জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান রিপিয়ারিং কাজ করে বরাদ্ধ শেষ হয়ে যায়। তিনি মাঠটি ভরাটের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষক আমাকে অবহিত করেছেন। ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পিবিএ/মোঃ হুমায়ুন কবির/এসডি