ধুনটে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

পিবিএ,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার শহড়াবাড়ি ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬.৭০ সেন্টিমিটার। সেই হিসেবে শনিবার দুপুরের দিকে পানি বেড়ে ১৬.৮৫ সেন্টিমিটার সমতায় প্রবাহিত হয়েছে। চলতি বছরের জুনের প্রথম থেকেই যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। গত ২৮ জুন বিপদসীমা অতিক্রম করে। এরপর ৪ জুলাই থেকে আবার কমতে শুরু করে এবং ৬ জুলাই বিপদসীমার নিচে নেমে যায় যমুনার পানি।

পরবর্তীতে ৯ জুলাইয়ের পর ফের বাড়তে থাকে এবং ১৩ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। টানা ২৫ দিন বন্যা হওয়ার পর ৭ আগস্ট যমুনার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে যায়। এরমধ্যে কয়েক দফায় যমুনার পানি কমতে ও বাড়তে থাকলেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আবারও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার পানি।

এদিকে যমুনার পানি বিপদসীমার অতিক্রম করায় ধুনট উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রাম গুলোতে নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চলের কৃষকের ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দু’দিন আগেও যেখানের নতুন স্বপ্নের বীজ বুনেছেন যমুনা পাড়ের কৃষক, সেই আবাদী জমি এখন পানির তলে। পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরের গ্রাম গুলোর সড়কের কোথাও কোথাও পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু পরিবার ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, টানা বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। তবে দুপুরের দিকে পানি স্থির হয়েছে। আর পানি বাড়ার আশংকা নেই। দুই একদিনের মধ্যেই পানি বিপদসীমার নীচে চলে আসতে পারে।

পিবিএ/আবু সুফিয়ান/এসডি

আরও পড়ুন...