এরা কারা কি তাদের পরিচয়, যে কারণে বাংলাদেশে ভাইরাল

পিবিএ,ডেস্ক: যুগল ছবিগুলো শ্রীলঙ্কার। কিন্তু বাংলাদেশের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে রবিবার সকাল থেকেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। থিকসানা ফটোগ্রাফি নামের একটি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির ফেসবুক পেইজে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয় শনিবার রাতে। এরপর ক্রমশ সেগুলো ছড়াতে থাকে। ছড়াতে ওয়েব দুনিয়ার সীমানা পেরিয়ে দেশীয় হোমপেইজ দখল করে নেয়।

একটু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিংহলিজ ভাষায় একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার যুগলের নাম লিখে ছবিগুলো পোস্ট করেন, এবং বলেন এ ধরনের ছবি তুলতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নেট জনতার ছবিগুলো কারণবশত পছন্দ হয়ে যায়, যার কারণে ক্রমশ শেয়ার করতেই থাকে। যার ফলে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশীয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের হোম পেইজ দখল করতে থাকে। ছবির যুগলের নাম যথাক্রমে নেথমি ও বুড্ডিকা। ছবিগুলো ‘পোস্ট উইডিং ফটোগ্রাফি’। অর্থাৎ বিবাহ-পরবর্তী ফটোসেশনের ছবি এসব।

ছবিগুলোর মন্তব্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল, সিংহলিজ ভাষায় অসংখ্য নেটিজেন এই জুটির জন্য বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন। থারুসা নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘কেন এমন ছবি ফেসবুকে দিয়ে আমাদের হৃদয়ে আঘাত দাও।’

একজন বলেছেন, ‘স্কুলে যাওয়ার বয়সে এই ছেলে-মেয়ে বিয়ে করেছে।’

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি এই ভাইকে চিনি। সে শুধু টাটকা সবজি খায়, তাই ২৮ বছর বয়সেও তাকে বাচ্চাদের মতো দেখায়। আপনারা তাচ্ছিল্য করছেন বলেই আমি মন্তব্য করলাম।’

একজন ফটোগ্রাফারকে উদ্দেশ করে বলছেন, ভাই তুমি তাদের ফটোশুটের টাকা ফেরত দাও, কারণ তোমার এক হাজার লাইকের পেইজ তারা ভাইরাল করে দিয়ে এখন ১৫ হাজারেরও বেশি করে দিয়েছে।

ভারতীয় ও দেশীয় নেটিজেনদের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ‘অনেকেই অপরিণত বিয়ে মনে করে ছবিগুলো শেয়ার করছেন। কিংবা এই জুটিকে অনেকেই বেমানান মনে করছেন।’

ছবিগুলোর নিচে অর্শি নামের এক বাংলাদেশি তরুণী মন্তব্য করেছেন, ‘যাক, এটা দেখে শান্তি লাগছে যে অন্য দেশের মানুষদেরও এগুলো দেখে জ্বলে।’

এক বাংলাদেশি তরুণ লিখেছেন, ‘ওকে বাই, আমি ডিপ্রেশনে গেলাম।’ লুইস নামের এক ভারতীয় তরুণ লিখেছেন, ‘এটা কি বাল্যবিবাহ?’

অর্থাৎ এই যুগল ছবিকে তারা বিভিন্ন অর্থে শেয়ার করছেন। তবে অবশ্য খুবই কমসংখ্যক ইতিবাচক অর্থে শেয়ার হচ্ছে। কেননা মন্তব্যের ঘর নেতিবাচকতায় পরিপূর্ণ। ছবিগুলো যে শুধু বাংলাদেশের নেটিজেনরাই শেয়ার করছেন তা নয়, শ্রীলঙ্কা, ভারতের নেটিজেনরাও সমানতালে শেয়ার ও মন্তব্য করে চলেছেন।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...