পিবিএ,গৌরীপুর(ময়মনিসংহ): ময়মনিসংহের গৗরীপুর উপেজলার রামেগাপালপুর ইউনিয়েনর ৫১ নং ডাউকী সরকারী প্রাথমিক বিদালেয়র মাঠটি দেখে মনে হবে বন্যায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল বা মাছ চাষ করার উপেযাগী কনো জলাশয়। বিদ্যালয়ের ভবন দুটি পাকা থাকেলও মাঠটি একট আবদ্ধ জলাশয়। বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩ শতািধক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করলেও তাদের খলা-ধূলা করার কান সুযোগ নেই। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৯ সালে।
এই শতবর্ষী বিদ্যালয় টির মাঠের কোন উন্নয়ন নেই, বছরের অর্ধেকের বেশী সময় মাঠে জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। ২২ সেপ্টেম্বর সকালে সরজিমেন দেখা গেছে বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। করোনায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না। যদি স্কুল খোলা থাকতো তাহলে ভোগান্তি পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। গণমাধ্যম কর্মীকে দেখে ছুটে আসা স্কুলের আশপাশের প্রায় ১৫ ক্ষুদে শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের স্কুলের মাঠে এখন গরু ধোঁয়া হয় ,বিদ্যালয়ের মাঠটি ঠিক করে না দিলে স্কুল খোলা হলেও আমারদের খেলা-ধুলার জায়গা থাকবে না। বিদ্যালেয়র সাবেক শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল হক জানান, চারিদিকে পুকুর খনন করে বিদ্যালয়ে জলাবব্ধতার সৃষ্ঠি করে পরিবেশ নষ্ঠ করতেছে অচেতনরা। এতে অনেক সচেতন অভিভাবক এ বিদ্যালয় থেকে তাদের সন্তাদের অন্য বিদ্যালয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন। আবুল হোসেন নামের একজন অভিভাবক জানান,বিদ্যালেয়র মাঠে এত পানি কোন সময় আসেনা। আমার আরো বড় ভাই আছে তাদের ৬০/৭০ বছর বয়স তারাও এই বিদালয়ের ছাত্র,তাদের জীবনেও এ মাঠে এত পািন দেখ নাই।
এই বিদ্যালয়ের ইতিহাসে জীবনে কোন সময় এ ধরনের পানি দেখা যায়নি। এই এলাকার বিদালয়ের চারপাশে যাদের জমি আছে তারা তাদের ইচ্ছা মত পুকুর খননের কারণে আজ এই জলাবব্ধতার সৃষ্ঠি হয়েছে। অন্য এক অভিভাবক খুরশেদ আলম জানান, চুতুর দিকে ফিসারী করে স্কুলের মাঠে পানি জমিয়ে রেখেছে, যার কারণে আজ বিদ্যালয় মাঠের এ অবস্থা। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের কর্তপক্ষকে না জানিয়েই শতবর্ষী বড় বড় গাছের ডাল পালা কেটে দিয়েছে ফিসারী মালিকরা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মিয়া হোসেন জানান বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব পাশে একটি খাল সেটি সরকারি খালের সাথে সংযোগ ছিলো। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের পুকুরের মালিক উক্ত খালটির প্রায় ২০/২৫ ফুট জায়গা জবর-দখল করে পুকুর বানিয়ে ফেলেছ।
বর্ষার পানি নামার কোন সুযোগ না থাকায় বিদ্যালয়ের মাঠেতে পানি জমে রয়েছে। এলাকার কিছু অসাধু লোক বিদ্যালয়ের কিুছ জায়গা ও দখল করে নিয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানায় অপরিকল্পিত ভাবে ফসলী জমিতে পুকুর খনন করে উঁচ পাড় তৈরী করায় এবং পানি নিস্কাশনের কালভার্ট সমূহের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এই শতবর্ষী বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার উপযোগী করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেন।
বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক এ কে এম ফারুক আহমেদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী এ বিষয়ে আমাকে বলার পর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুজািহদ ইসলামের সাথে কথা বলেছি। বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের বিষয়ে তিনি বলেন,বিদ্যালয়ের জায়গা যদি কেউ দখল করে থাকে তাহলে তা ফিরত দেয় দিবে। এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুজাহিদুল ইসলামের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন একটু পরে আসেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/মো: হুমায়ুন কবির/এসডি