পিবিএ,নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নে ডাকাত সন্দেহ অজ্ঞাত (৪৫) নামের এক ব্যক্তি স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। এসময় ডাকাতদের হামালায় শাহজাহান (৪৮) নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ফাইপগান উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পশ্চিম চরউরিয়া গ্রামের ইকবাল সর্দার বাড়ী এলাকায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। আহত মো. শাহজাহান ওই গ্রামের শেকু মিয়ার ছেলে। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালী ইউনিয়নের চর উরিয়া, পাশ্ববর্তী মন্নাননগর ও এজবালিয়ার বিভিন্ন বাড়ীতে প্রায় রাতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত দু’দিন আগে স্থানীয় লোকজনের উদ্দ্যেগে ওই এলাকাগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিনেরমত শুক্রবার গভীর রাতেও এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে পাহারা বসায় স্থানীয়রা। রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের আদর্শ কলনির খলিল মিয়ার দরজা এলাকায় ১২/১৪ জনের একদল ডাকাত দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে পাহারাকৃত লোকজন। এসময় ডাকাত দল শাহজাহান নামের এক ব্যক্তিকে ধরে পিটিয়ে জখম করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ইকবাল সর্দারের বাড়ী এলাকার একটি খেতের মধ্যে গিয়ে অজ্ঞাত (৪৫) ডাকাত সদস্যকে আটক করে গণপিটুনি দেয় লোকজন।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আতাউর রহমান নাছের বলেন, গত এক সপ্তাতে অন্তত ৬টি বাড়ীতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি রোধে স্থানীয় লোকজন এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করে। স্থানীয় মাসুদ ডাকাতের নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটছে বলে রাতে স্থানীদের কাছে স্বীকার করেছিল নিহত সেই ডাকাত।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ডাকাত সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন সনাক্ত করতে পারেনি। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।
একপ্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ডাকাত মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরআগে তাকে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে এলাকার বাহিরে থেকে এসে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পিবিএ/ওয়াইই/জেডআই