পিবিএ,কুষ্টিয়া: সাবধান, ঝুঁকিপূর্ণ/ ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষেধ। আদেশক্রমে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। কথাগুলো লেখা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের ভেড়ামারা উপজেলার ৩ নং ব্রীজের। ব্রীজটি দিয়ে পাশ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলাসহ ঢাকাগামী বাসগুলো জেলা শহরে চলাচল করে থাকে। ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়কটি কুষ্টিয়া জেলা সদরের সাথে ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলার সহজ সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম।
এছাড়াও বারোমাইল, খাড়ারা, খাদিমপুর, চন্ডিপুর, চাঁগ্রাম,মন্ডলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকসা, ভ্যান, অটোরিকসা, সিএনজিসহ বাস-মিনিবাস চলাচল করে থাকে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) ক্যানেলের ৩ নং ব্রীজটি অনেক পুরনো। মাস ছয়েক ব্রীজের পুর্বাংশের নিচের দিকে ফাটল ধরায় দেবে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো। এরপর থেকে দীর্ঘদিনেও আর কোন মেরামত কাজ না করায় ব্রীজটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এই ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে ব্রীজটি দিয়ে রিকসা, ভ্যান, অটোরিকসা ও সিএনজি, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
স্থানীয় সংবাদিক মাহাদী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রীজটি সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষকে অনেরাধ করেছি। কিন্তু কোন কাজই হয়নি।দীর্ঘদিনের এই পুরনো ব্রীজে মেরামত কাজ না করায় ব্রীজটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি গত সপ্তাহে ব্রীজটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দা) মৃন্ময় বলেন, কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীসহ আমরা ব্রীজটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে তিনটা স্প্যান ফাটল ধরেছে। আপাতত এই ব্রীজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা বেইলী ব্রীজ করে দেবো।এছাড়াও তিনি বলেন, এটির (ব্রীজের) দেখভাল করার কথা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তাদের সাথেও আমাদের আলাপ হয়েছে তারা পরবর্তীতে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করবে।
পিবিএ/এসজে/হক
