পিবিএ, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষনের অভিযোগে সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।
ধর্ষিত ওই নারী (তিশা আক্তার মারিয়া) গতকাল রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে প্রতিবেশী রহিমা বেগম নামে এক নারীর সাথে সাটুরিয়ায় এলে সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন থানার পাশে সাটুরিয়া ডাকবাংলাতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে আটকিয়ে জোরপূর্বক ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে নেশাগ্রস্থ করে।পরে এসআই সেকেন্দার ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম তাকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষন করে।পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে বিভিন্ন মামলায় জড়িত করিয়া ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরের দিন শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত আটকিয়ে রাখার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
রহিমা বেগম জানান, এস,আই সেকেন্দার হোসেন তার পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে জমি কেনার বিষয়ে গত তিন বছর আগে তিনি সেকেন্দারকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নিতে তিনি তার প্রতিবেশী তিশা আক্তার মারিয়াকে সাথে নিয়ে সাটুরিয়ায় আসেন। সেকেন্দার হোসেন তাদেরকে টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য থানার পাশেই সরকারি ডাকবাংলোতে নিয়ে যান।সেখানে পাওনা এক লাখ টাকার মধ্যে ১০হাজার টাকা দিয়ে পাশের একটি কক্ষে তাকে আটকিয়ে রাখা হয়। অন্য কক্ষে মারিয়াকে নিয়ে যায় সেকেন্দার।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে টেলিফোনে পাওনা টাকার বিষয়ে দুই পুলিশের সঙ্গে এক নারীর অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জেনে তাৎক্ষনিকভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।
আজ রবিবার ভিকটিম (তিশা আক্তার মারিয়া)স্বসরিয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর সার্কেলের এএসপি হাফিজুর রহমানকে বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে পুলিশ সদস্য বলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/এমআইএম/এইচএইচ