যুক্তরাষ্ট্রে শাট ডাউনের আশংকা দূর হলো

donald trump

পিবিএ ডেস্ক : দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর তোলা নিয়ে কোনওমতে সমাধান বের করলেন ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান সদস্যরা। ঠেকানো গেল আবার শাট ডাউনের আশংকা। কিন্তু ওই পর্যন্তই। মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তুলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চেয়েছিলেন ৫৭০ কোটি ডলার। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রফা মোতাবেক আপাতত ১৪০ কোটি ডলারেই খুশি থাকতে হচ্ছে তাকে। তাতে অবশ্য এতটুকু না দমে ট্রাম্প বলছেন, ‘দেওয়ালটা আমরা বানাবোই।’

সীমান্ত সুরক্ষায় যে সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে দু’পক্ষের, তাতে ৮৮ কিলোমিটার জুড়ে এখনকার নকশা মতো ধাতব পাতের বেড়া তৈরিতে সায় মিলেছে। প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন, ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় কংক্রিটের দেওয়াল। এবার মার্কিন কংগ্রেসের সম্মতি মিললে তবে এই চুক্তিতে সই করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। সোমবার রাতে টেক্সাসের এল পাসো-তে এক সভায় ট্রাম্পের গলায় তবু আত্মবিশ্বাস, ‘আপনারা দেখছেন তো! যে করেই হোক, দেওয়ালটা আমরা বানাবোই।’

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ৩৫ দিনের জন্য (সব চেয়ে দীর্ঘ শাট ডাউন) মার্কিন সরকারের নয়টি দফতরের কাজকর্ম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মধ্যস্থতাকারীরা এই সব দফতরের কাজকর্ম চালাতে অর্থ জোগাড়ের জন্য চুক্তির কথা ভেবেছিলেন। ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ২৫ জানুয়ারি ঐকমত্যে পৌঁছনোর পরে ঠিক হয়, সাময়িকভাবে দফতরগুলোকে চালানোর জন্য ব্যয় মঞ্জুরি হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি বের করা হবে সমাধান সূত্র।

আলোচনা শুরুর পরে গত রবিবার অবশ্য অনথিভুক্ত শরণার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হওয়ায় ফের ভেস্তে যায় আলোচনা। যেসব দফতরের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলোর সঙ্গে শরণার্থীনীতির সরাসরি কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ট্রাম্প অনড় ছিলেন প্রাচীর তোলা নিয়ে। অর্থ না পেলে তিনি সব রাস্তাই বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাটরা প্রাচীর তোলার জন্য ওই বিপুল অর্থ মঞ্জুরিতে আপত্তি জানান। তাদের যুক্তি, অনথিভুক্ত শরণার্থী নিয়ে অহেতুক উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। সীমান্তের চেয়ে ওই অর্থ প্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় হওয়া যুক্তিযুক্ত।

পিবিএ/জিজি

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন...