রংপুরে ফুল ফুটতেও মানা

ফুল
বাগানে গোলাপ

আল আমীন সুমন, পিবিএ রংপুর: ভালোবাসা দিবস কে সামনে বাজারে গোলাপের চাহিদা বেশি। গোলাপ আগেই যাতে না ফোটে সেজন্য ক্যাপ পড়ানো শুরু করেছেন এই ফুলচাষি।

বাগানে গোলাপে পড়ানো হচ্ছে ক্যাপ। খুবই সাবধানতার সাথে এ ক্যাপ পড়ানো হয়। যাতে গোলাপ আঘাত না পায়। রংপুরের হাজির হাটে রফিকুল ইসলামের বাগানে রজনী গন্ধা, গোলাপ, গাধা, যারবারা সহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রোপন করে। ফুল বাগানে গিয়ে এ দৃশ্য লক্ষ্য দেখা যায়।

রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর বসস্তে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। একারনে আগে থেকেই ফুলের বাগানে পরিশ্রম শুরু করে দেন। পর্যাপ্ত ফুলের সরবরাহ করতে প্রচুর পরিশ্রম করেন। শেষের দিকে এসে শুরু করেন ক্যাপ পড়ানো।

তিনি আরো জানান, তাই প্রতি বছর বসন্তের আগে গোলাপে ক্যাপ পড়ান। অনেক সময় গোলাপ আগেই ফুটে। এতে করে লোকসানে পড়তে হয়। ১৯৯৮ সালে ৪০ শতক জমিতে গোলাপের চাষ চাষ শুরু করেন। এখন তার ১০০ শতক জমিতে গোলাপ রয়েছে।

৭ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে পরিবারের লোকজনসহ কর্মচারি নিয়ে গোলাপে ক্যাপ পড়ানো শুরু করেন। ৯ তারিখের মধ্যে সমস্ত গোলাপে ক্যাপ পড়ানো শেষ হয়।
আবারো বাড়তি কর্মচারি নিয়ে ১২ তারিখ থেকে ফুল তোলা শুরু করবেন। ভালোবাসা দিবসের সকাল পর্যন্ত ফুল সংগ্রহ করবেন। এবার তার বাগানো ৫ হাজারেরও অধিক গোলাপ রয়েছে।

তিনি প্রতি পিচ গোলাপ ৮ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। ৮ টাকা পিচ হিসেবে এবার তার আয় হবে ৪ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত ফুল ব্যবসায়ী গোলাপ ফুলের জন্য অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন। গত বছর ভালো বেচা বিক্রি হয়েছে।

তিনি জানান, রংপুর নগরীর সিটি বাজারে ক্যাপ পাওয়া যায়। সেখানে প্রতি পিচ ক্যাপের দাম নেয়া হয় ১টাকা। পর্যায় ক্রমে নিয়ে এসে ক্যাপ পড়ানো শুরু করেন।
সিটি বাজারের ক্যাপের দোকানদার জানান, ফুলচাষিরা বসন্তের আগে ক্যাপ কিনে নিয়ে যায়। তিনি প্রতি পিচ ক্যাপ ১টাকায় বিক্রি করেন। এ সময় তার বেশ বিক্রি হয়। তার কর্মচারি জানান, ফুলে ক্যাপ পড়ানো দৃশ্য দেখার জন্য অনেকেই বাগানে আসেন।

রংপুর জেলায় অর্ধশতাধিকেরও বেশি ফুলচাষি রয়েছে। আর মহানগরীতে ফুল ব্যবসায়ী রয়েছেন ৩০জন।

মিন্টু মুল বিতানের প্রো: ইসরাত জামান মিন্টু জানান ১৯৯৯ সালে ফুলের ব্যবসা শুরু করেন। এখন প্রর্যন্ত তার নিজেস্ব বাগান একটা, আর ইযারাত নেয়া আছে ২৫দন জমি, আর কনট্রাক বাগান ৩টা রয়েছে, বেশি চাহিদা থাকলে যশোর থেকে ফুল সংগ্রহ করী।

মিন্টু আরো বলেন আমার নিজেস্ব ফুলের দোকান আছে। সেই দোকানে আমি সহ ৭ জন কর্মচারী থাকে ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা হওয়ায় আরো ৭ জন কর্মচারী নেয়া হয়েছে। আমার টারগের্ট আড়াই লক্ষ টাকার ফুল বিক্রী হবে।

নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া রোড সৌখিন ফুল বিতান প্রোঃ গোলজার হোসেন লিঠন জানান আমি আগেই থেকে ফুল সংগ্রহ করি। দেখা যায় অনেক সময় আমরা ঢাকা থেকে ফুল সংগ্রহ করি থাকি। সামনে ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা একটু আগের চেয়ে অনেক বেশি।

চিড়িয়াখানা রোড় মাধবী ফুল ঘরের প্রোঃ মামুন মিয়া জানান আমার নিজের বাগান আছে তবুও বাহিরের বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করতে হয়। ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুল ও গাধা ফুলটি চাহিদাটা একটু বেশি হয়। আমাদের দোকানে আমি সহ কর্মচারী ৬জন রয়েছে, ভালোবাসা দিবসে উপলক্ষে আরো কর্মচারী বাড়াতে হবে।

পিবিএ/এএএস/জেডআই

আরও পড়ুন...