শিশুদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন হয়। পুষ্টিকর হলেও সব খাবারই শিশুতে খেতে দেয়া ঠিক হবে না। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের খাওয়ানো ঠিক নয়-
কাচা বা অপাস্তুরিত দুগ্ধজাত খাবার: পনির, দুধ এবং এ জাতীয় খাবার শিশুদের কাছ থেকে দুরে রাখাই ভালো। কাঁচা, অপাস্তুরিত দুগ্ধজাত খাবারের কারণে শিশু অসুস্থ হতে পারে; এমনকি হাসপাতালেও নিতে হতে পারে।
বড় আকারের ফল: শিশুকে বড় ফল খাওয়ার আগে এর ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যদিও শিশুর জন্য ফল উপকারী কিন্তু বড় আকারের ফল খ্ওায়ালে তাদের শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। সব সময় ফল ছোট ছোট টুকরো করে দিতে হবে যাতে শিশু সহজে চিবোতে পারে। শাকসবজি, গাজরও ছোট করে কেটে দিতে হবে।
গাম বা ক্যান্ডি: ক্যান্ডি এবং ওষুধ জাতীয় খাবার যেমন গাম, শক্ত ক্যান্ডি, টফি, ড্রপ এগুলো শিশুর খাবার নয়। এগুলো শিশুর গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাদাম: পাঁচ বছরের নিচের অনেক শিশুরই বাদাম খেলে অ্যালার্জি দেখা দেয়। তাই খাওয়ার আগে অল্প দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা।
ডিম: অনেকেই বলেন যে ৬ মাসের পর থেকে শিশুকে ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এটি নিরাপদ নয়। কারণ ডিমের সাদা অংশ শিশুর অ্যালার্জি, জ্বালাপোড়া এবং বমি হতে পারে।
কোমল পানীয়: সোডা মিশ্রিত খাবার শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার হতে পারে না। এটি দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। সোডা মিশ্রিত খাবার, কোমল পানীয় শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে।
অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি: বাড়িতে তৈরি খাবার শিশুর জন্য নিরাপদ। তবে খাবারে অতিরিক্ত লবণ বা চিনি ব্যবহার করা উচিত নয়। লবণ শিশুর কিডনির জন্য ক্ষতিকর। শিশুর জন্য চিনির প্রয়োজন নেই। তাদের খাবার তৈরিতে এটি বাদ দেয়ায় ভালো।