ঋতু বদলের পরিক্রমায় বাড়ছে তাপমাত্রা, যা খুব একটা স্বস্তিকর নয়। প্রকৃতির এই আবহাওয়ার ওপর আপনার হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন স্বস্তি।
জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরমকালে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। আসুন, আমরা সেসব সম্পর্কে জেনে নিই-
তৈলাক্ত খাবার : অয়েলি ও জাঙ্ক ফুড, যেমন অতিরিক্ত ভাজা খাবার অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত। এটি সব ঋতুতে ক্ষতিকর। তৈলাক্ত খাবার গরমকালে খেলে তা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াবে এবং ইমিউনিটি কমাবে।
গ্রিলড মিট (তন্দুরি) : অনেকে বাড়ীর ছাদে বারবিকিউ নাইট উদযাপন করে। যা-ই হোক, গ্রিলড মিট উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। যেখানে বাইরের আবহাওয়া উষ্ণ, সেখানে এমন খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়াবে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে।
অ্যালকোহল : অনেকে গরমকালে বরফ দিয়ে অ্যালকোহল পান করে স্বস্তির জন্য। কিন্তু মনে রাখা দরকার, শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে অ্যালকোহল। গরমকালে অ্যালকোহলের কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, কমতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর সঙ্গে নানা রোগ হতে পারে। তাই গরমকালে অ্যালকোহল পরিত্যাগ করা উচিত।
উষ্ণ পানীয় : বেশির ভাগ মানুষ দিন শুরু করে কফি বা চা দিয়ে। যদিও এই অভ্যাস আপনাকে স্বস্তি এনে দেয়, তবে গরমকালে নিয়মিত কপি ও চা পান শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এ সময় গ্রিন টি বা আইসড কফি খেতে পারেন।
সসেস (প্রক্রিয়াজাত খাবার) : অধিকাংশ সস ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতি মাত্রায় লবণ, প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম ফ্লেভার যেমন মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে। যদি এসব নিয়মিত খান, তবে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসন্ন দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরো বাড়বে। তাই খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা জরুরি। ফল ও শাকসবজি শরীরকে শীতল করে।