অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না গৃহবধূ সালমার

পিবিএ,মানিকগঞ্জ: অর্থের অভাবে চিকিৎসাসেবা নিতে না পারায় মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে গৃহবধু সালমা বেগম।অগ্নিদগ্ধ হয়ে শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। সে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী সকালে নিজ বাড়িতে মাটির চুলায় রান্না করতে গিয়ে অসাবধানতার ফলে তার গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয় । তার অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে । ঢামেক চিকিৎসকরা জানায়, সালমার শরীরের নিচের অংশের ৩০ ভাগ পুড়েছে। তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসায় থাকতে হবে। তবে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশী হবে।
বাধ্য হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় গতবুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ঢাকা বান ইউনিট থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে ।
সালমার স্বামী দরিদ্র কৃষক রুবেল মিয়া জানায়, তার নিজের কোন জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে তিনি দিনাতিপাত করেন। তাদের সংসারের দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে সালমা তিন মাসের অন্তস্বত্তা।এমতাবস্থায় তিনি নিরুপায় হয়ে বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরানো সালমা জানায়, তার বাবা-মা মারা গিয়েছে বহু বছর আগে। চাচার কাছে মানুষ হয়েছে সে। চাচাই তাকে দরিদ্র কৃষকের কাছে বিয়ে দেয়। তার আত্মীয়-স্বজন বলতে তেমন কেউ নেই , টাকার অভাবে সে চিকিৎসা নিতে পারছে না। এমতাবস্থায় সালমা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জের এমপি জাহিদ মালেক স্বপন, মমতাজ বেগম ও নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের সাহায্য কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী বলেন, যেহেতু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জের বাসিন্দা। সেহেতু তিনি আন্তরিকতভাবে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে বিনা খরচে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আগুনে পোড়া রুগীর চিকিৎসা খরচ অনেক বেশী লাগে। নি:স্ব ও হতদরিদ্র কৃষক স্বামীর পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন সম্ভব হচ্ছে না। তার চিকিৎসা সাহায্যার্তে সকলের এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।
পিবিএ/এমএসই/এমএসএম

আরও পড়ুন...