দীর্ঘদিন কোভিড-১৯’য়ে ভোগার লক্ষণ

দীর্ঘমেয়াদে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকার রয়েছে সাধারণ কিছু উপসর্গ।
কোনোরকম শারীরিক অসুস্থতা না থাকলেও কোভিড-১৯’য়ের উপসর্গগুলো নিজের মধ্যে চোখে পড়েছে এমন মানুষও আছেন।

কয়েক সপ্তাহ বা মাসব্যাপি এই উপসর্গগুলো থাকতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এমন কিছু উপসর্গ যা ইঙ্গিত করে দীর্ঘমেয়াদি কোভিডের দিকে।

অবসাদ: দীর্ঘদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যারা ভুগছেন তাদের কর্মশক্তি অনেক কমে যায়। ফলে সবসময় তারা ক্লান্তি অনুভব করেন। এমনিক পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও তাদের ঘুমভাব আর অবসাদ দূর হয় না।

মাথায় ঘোলাটেভাব: ‘ব্রেইন ফগ’ বা মাথায় ঘোলাটেভাব লেগে থাকা আরেকটি লক্ষণ যা প্রায়শই দেখা যায়। কোনো কাজে মনযোগ ধরে রাখা, কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া ইত্যাদি কাজকে খুব কঠিন মনে হয়।

শ্বাস কষ্ট: শ্বাসকষ্টের আরেক নাম ‘ডিজ-অ্যাপনিয়া’। দীর্ঘদিন ধরে যারা মৃদু মাত্রায় কোভিড-১৯’য়ে ভুগছেন তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। আগে যতটুকু হাঁটাহাঁটি, দৌঁড়ানো কিংবা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হত না এখন তার থেকে কম পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে উঠবেন এই মানুষগুলো।

বুক ব্যথা: বুকে তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব করা, বুক ধড়ফড় করা, সামান্য পরিশ্রমে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি কোভিডের লক্ষণ।

ঘুমের সমস্যা: অবিরাম শারীরিক নানান অস্বস্তিতে ভোগার কারণে এই রোগীদের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুম আসলেও তা সহজেই ভেঙে যেতে পারে।

অদ্ভুত শারীরিক অস্বস্তি: অনেকদিন ঘরে যারা করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভুগছেন তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক তীক্ষ ব্যথা কিংবা শিহরণ অনুভূত হতে পারে। এই অনুভূতি কয়েকদিন থেকে সেরে যায়, আবার নতুন করে ফিরে আসে।

হাড়ের জোড়ে অস্বস্তি: অবসাদগ্রস্ত অনুভব করার পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে হাড়ের জোড়ে ব্যথা কিংবা অস্বস্তি।

জ্বর ও কাশি: কোভিড-১৯’য়ের অন্যতম উপসর্গ জ্বর ও কাশি। কাশির সঙ্গে শুকনো কফ দেখা দিতে পারে। জ্বর সেরে গিয়েও বারবার ফিরে আসতে পারে। করোনাভাইরাস হজমতন্ত্রেও প্রভাব ফেলে। যে কারণে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, পেটব্যথা ইত্যাদি।

স্বাদ ও গন্ধ না বোঝা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো প্রথম সারির। সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরও অনেক রোগী এই সমস্যায় ভোগেন।

আরও পড়ুন...