একটা সময় ছিল নিৰ্ভজোল খাবার খাওয়ার রীতি। ক্রমশই সরে যাওয়া হচ্ছে আমাদের সেই জীবন প্রণালী থেকে সেই টাটকা খাবার খাওয়ার রীতিটা থেকে। নগরজীবনের ব্যস্ততায় মানুষ ফ্রিজে রিজার্ভ খাবার খেয়ে যাচ্ছেন।
প্রায় প্রতিদিনই আমরা খাবার রিজার্ভ করে রাখি ফ্রিজে। কাজের ব্যস্ততায় প্রতিনিয়ত খেতে হচ্ছে সেই সব খাবার। কিন্তু এসব খাবার কতটুকু মানবদেহের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। কখনো কি আমরা সেটা ভেবে দেখেছি। এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো ফ্রিজে না রেখে স্বল্প রান্না করে খাওয়াই ভালো। এতে মানবদেহে সমস্যা হবে না।
যত সময় এগিয়েছে ততই ভেজাল মিশতে শুরু করেছে খাবারে। তবে তা জানার পরেও যারা কাজে বেরিয়ে যান তারা সকালের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিয়েই দৌঁড়ান অফিস -আদালতে, সেই খাবার আবার রাতেও খেতে হয়। তাদের কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন দরকার।
খাবার বেঁচে গেলে সেই খাবার আবার গরম করে পরের দিনও অনেকেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু বাসি খাবার শরীরের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকারক সেটি কজন ভেবে দেখেছেন।
যে খাবারগুলো ফ্রিজে রাখলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে চলুন জেনে নেয়া যাক।
১. মুরগির মাংস: মুরগির মাংস অনেকেই রান্না করে বা কাঁচা রেখে দেন ফ্রিজে। কিন্তু মুরগির মাংস (রান্না) ফ্রিজে রেখে দিয়ে বারবার গরম করলে এতে থাকা প্রোটিনের কম্পোজিশন অনেকটাই পাল্টে যায়। বদহজম হতে পারে এর থেকে।
২. ডিম সিদ্ধ: ডিম সিদ্ধ করে অনেকেই রেখে দেন। ডিমের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকায় একবার গরম করে ফ্রিজে রাখলে তাতে টক্সিন তৈরি হতে পারে, যার ফলে আমাদের সহজেই বদহজম হতে পারে।
৩. আলু: আলু সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেন অনেকেই তরকারি বানাবেন বলে। তবে জানেন কি যে ঠাণ্ডা আলুতে তৈরি হয় এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া যার নাম বটুলিজম? বারবার গরম করলে এ ব্যাকটেরিয়া অনেক বেড়ে যেতে পারে। এর থেকেই হতে পারে হমে সমস্যা, অম্বল ও পেটের নানা সমস্যা।
৪. ভাত: একবার বেশি করে ভাত রান্না করে রাখার প্রবণতা অনেকের আছে। নতুন করে ভাত বানানোর কোনো দরকার কেউ মনে করেন অনেকে। আবার সেই ভাত অনেকেই অনেকবার গরম করে খেয়ে নিচ্ছেন দরকার মতো। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে বারবার ভাত গরম করে খেলে সেই ভাতের মধ্যে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয়, যা ডায়রিয়া হতে সাহায্য করে।