রমজান বরকতময় মাস। এ মাসে শয়তানকে বন্দি করা হয়। আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে রসুল (সা.) কীভাবে রোজা রাখতেন? ইফতার করতেন কী দিয়ে? এসব নিয়ে মুসলমানের মধ্যে আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক।
রোজাদারের জন্য ইফতার বড় আনন্দের। হাদিসে বলা হয়েছে, রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দ- একটি ইফতারের সময় এবং অপরটি যখন আল্লাহর সঙ্গে মিলবে তখন।
স্বাভাবিকতই ইফতারে খেজুর অত্যন্ত উপযোগী উপকরণ। এটি শর্করা ও পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা রাসুল (সা.) এর অভ্যাস ছিল।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। ভেজা কিংবা শুকনো খেজুর কোনোটাই না পেলে পানিই হত তার ইফতার।’ (তিরমিজি; রোজা অধ্যায় : ৬৩২)
সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল্ল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র।’
রাসুল (সা.) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করতে পছন্দ করতেন। ইফতারে দেরি করা তিনি পছন্দ করতেন না।
সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮২১; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৩৮)।