সারাহ বেগম কবরী। যার মিষ্টি হাসিতে বুঁদ হয়েছিল বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। সত্তরোর্ধ্ব এই অভিনেত্রী ও রাজনীতিক করোনা আক্রন্ত হয়ে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে মারা যান।
বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবন তার। চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক জীবনে পেয়েছেন সাফল্য। মাত্র ১৩ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। ৩০ বছরে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন কবরী।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সারাহ বেগম কবরীর অভিনয় জীবন শুরু। দক্ষ অভিনয় শৈলী দিয়ে ‘মিষ্টি মেয়ে’ হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। তারপর জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কবরীর শুধুই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা। এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়সহ অসংখ্য সিনেমায়। আগন্তুকসহ জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
অভিনেত্রী কবরী পরিচালনায় নাম লিখিয়েছিলেন ২০০৮ সালে।নির্মাণ করেছিলেন ‘আয়না’ নামের সিনেমা। এরপর সর্বশেষ হাত দিয়েছিলেন আরও একটি সিনেমার কাজে। সরকারি অনুদানের এই সিনেমার নাম ‘এই তুমি সেই তুমি’।
ছবির বেশ কিছু অংশের শুটিং শেষ করেছিলেন। সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে তৈরি করিয়েছিলেন গানও। কিন্তু সেই সিনেমা অসম্পূর্ণ রেখেই চিরবিদায় নিলেন কবরী। অসম্পূর্ণ থেকে গেল কিংবদন্তি অভিনেত্রীর অনেক স্বপ্নও।
হঠাৎ খুসখুসে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান কবরী। ৫ এপ্রিল রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই রাতেই তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। অবশেষে চিরবিদায় নিলেন এই কিংবদন্তি।