পিবিএ,নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বেতন-সেশন ও অন্যান্য ফি কমানোর আবেদন নিয়ে আসা অভিভাবকদের আবেদন গ্রহণ না করে উল্টো তাদের তাড়িয়ে দিলেন অধ্যক্ষ ও পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটেছে । এসময় অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে দৃঢ় অবস্থান করলে চেয়ারম্যান পুলিশ ডেকে স্কুল প্রাঙ্গনে বিশৃঙ্খলার দায়ে গ্রেফতার করা এবং আগত অভিভাবকদের উচিত শিক্ষা দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা পিবিএকে জানান, এই আবেদন নিয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত প্রায় ৫ শতাধিক অভিভাবক পরামর্শ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে শনিবার বেলা ১১ টায় জমা দিতে যান। এসময় অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম কিশোর অভিভাবকদের আবেদন গ্রহণ না করে তাদের স্কুল চত্বর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় অভিভাবকরা বলেন আবেদনটি রিসিভ করে নেন। বেতন ফি কমাবেন বা না কমাবেন তা আপনাদের বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু তাতেও অধ্যক্ষ রাজি না হওয়ায় অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি লায়ন মো: নজরুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের পুলিশ ডেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এতে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্কুলের শিক্ষকরা অভিভাবকদের ঘিরে ফেলে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে অভিভাবকদের পক্ষে স্থানীয় ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তা মো: গোলাম ফারুকের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং তার সাথে কয়েকজন অভিভাবক স্কুল অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যানের নিকট উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন কিন্তু তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে আবারও অভিভাবকদের অপমান করে তাড়িয়ে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো: নজরুল ইসলাম কিশোর এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি পিবিএকে জানান, অভিভাবকরা অহেতুক দাবি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তাদের বাইরে যেতে বলা হয়েছে। তাদের সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরন করা হয়নি।
চেয়ারম্যান লায়ন নজরুল ইসলাম পিবিএকে বলেন, অভিভাকরা দাবি উত্থাপনের নামে উচ্ছৃঙ্খলা করায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের স্বরনাপন্ন হবো বলে জানিয়েছি। তাতেই তারা আরও বেশি হট্টগোল শুরু করলে পরিবেশটা ঘোলাটে হয়ে যায়। এটার জন্য অভিভাবকরা দায়ী। তারা তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তা এমনভাবে উপস্থাপন করবে ভাবা যায়না। তারা এমন শিক্ষাই যদি দিতে চায় তাহলে এ প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর দরকার নেই। তাদের সামর্থ অনুযায়ী অন্যত্র নিয়ে যেতে পারেন।
পিবিএ/এসএ/হক