সোহাগ হাসান,সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হলেও শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে রাতে এই ঘোষনার পরে অনশণ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গতকাল থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ৫সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ।
অনশণরত শিক্ষার্থী সোহাগ হোসাইন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অনশণরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আমাদের এই আন্দোলন চলছে। তবে আমরা তদন্ত কমিটির ওপরে আস্থা রেখে আমাদের আমরন অনশণ কার্যক্রমটি স্থগিত করেছি। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের বিপক্ষে গেলে আমরা আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান করবো।
রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ৫সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, সেই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার পরেও তারা সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা গতকাল থেকে ভিতরে প্রশাসনিক ভবনে ভিসিসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কাল শুধু তদন্ত কমিটির ৫শিক্ষককে তারা বের হতে দিয়েছে।
তারা হয়তো ভাবছে যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাহলে হয়তো এই প্রতিবেদন আর জমা হবেনা বা ব্যবস্থা নেয়া হবেনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের বুঝিয়েছি আন্দোলন না করার জন্য। বলেছি আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেই, যদি সেটা তোমাদের পছন্দ না হয় প্রয়োজনে তখন তোমরা এবিষয়ে সিধ্যান্ত নিও। ###
