পিবিএ,ভালুকা (ময়মনসিংহ): জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্র্ প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়াদ গত ১৩ নভেম্বর ২০২১ খ্রি তারিখে শেষ হওয়ার পরও বাংলোতে স্বপরিবারে অবৈধভাবে অবস্থান করছেনে। এ বিষয়ে তিনি অন্তরবতী কালীন ভিসির বরাবর মালামাল গোছানোর অজুহাতে ১৪ দিনের অবস্থানের জন্য আবেদন করছেন। তবে কতৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনিক কোন অনুমোদন প্রদান করেননি। এ বিষয়ে অন্তর্বতীকালীন ভিসি ও ট্রেজারার প্রফেসর মো: জালাল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি জানান সাবেক ভিসি মন্ত্রণালয়ে গত ১১ তারিখ আবেদন করেছিলেন, মন্ত্রনালয় হতে কোন মতামত আসেনি।
উল্লেখ্য যে, সাবেক ভিসি বাংলোয় অবস্থান কালীন জনবলসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পূবের মতোই ভোগ করছেন। এ বিষয়ে তাকে বার বার ফোন করা হলো তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তিনি এখনও তাকে প্রদত্ত মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে যাচ্ছেন। সরজমিনে ক্যাম্পাসে গিযে জানা যায় তিনি ২য় মেয়াদে আসবেন এ বিশ্বাসে অবৈধভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, তিনি তো থাকতেই পারেন। তবে অবৈধ ভাবে থাকছেন কিনা সে বিষয়ে ট্রেজারার মহোদয়ের সাথে কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার ও প্রকৌশল শাখায় যোগাযোগ করে জানা যায় ভিসি বাংলোতে সাবেক ভিসির নিজের কোন মালামাল নাই যেগুলো মালামাল বাংলোতে আছে তা ভিসি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত মালামাল। পরবর্তী ভিসি বিধি মোতাবেক এগুলো ব্যবহার করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন দুর্নীতির অর্থ এখনও ভাগাভাগি শেষ হয়নি তাই তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করছেন না, এছাড়া তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অজিত কোটি কোটি টাকা দিয়ে ২য় মেয়াদে আসার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ধর্না দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান ২য় মেয়াদে ভিসি হওয়ার স্বপ্নে তিনি বিভোর, শুনেছি বিভিন্ন মহলে তিনি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে রেখেছেন পুনরায় ভিসি হওয়ার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। তবে সুবিধাভোগী একটি মহলে ভিসির বাংলোতে অবস্থানের বিষয়ে সমর্থন করে যাচ্ছেন এখনো।
পিবিএ/সাজ্জাদুল আলম খান/জেডএইচ