চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দাপট দেখায় বাংলাদেশ দল। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে দিন শেষ করে। দ্বিতীয় দিনের পুরোটা পাকিস্তানের। সকালে স্বাগতিকদের ৬ উইকেট তুলে ৩৩০ রানে আটকে দেয়। পরের দুই সেশনে আবিদ আলী অপরাজিত ৯৩ আর আব্দুল্লাহ শফিকের অপরাজিত ৫২ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারী। দুই দিনের খেলা শেষে পাঁচ দিনের এই ম্যাচে কারা এগিয়ে?
শনিবার দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলন সামলাতে আসা লিটন দাস প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকেই এগিয়ে রাখলেন। তবে নিজেদের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না। সঙ্গে বাংলাদেশ দলের কাজটা কতটা কঠিন, সেটিও মনে করিয়ে রাখলেন লিটন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দিন যেটা ছিল, আমাদের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে যখন ৪ উইকেট পড়ে যায় হয়তো সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ অল্পতে অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে খেলায় ফিরেছি। আমরা যখন দিন শেষ করেছি, আমাদের ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাব কাল (আজ)। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয় সেটা পরেরদিন হয় না।’
সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে কারণ কোনো উইকেট হারায়নি। এই বোর্ডে যদি ২-৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি ১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকতাও তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে মনে হতো দুই দিকেই খেলা থাকত। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল সকালে দ্রুত ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সিমিলার জায়গায় চলে আসবে। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’
আপাতত খালি চোখে হিসাব কষলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের থেকে এখনো ১৮৫ রানে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে এগিয়ে পাকিস্তান। ফলের বিষয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ দল?
লিটনের জবাব, ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আমি আগেও বললাম আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে ভিন্ন দৃশ্য থাকতো। আবার বোলিংয়ে ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম তাহলে চিত্র ভিন্ন হতে পারত। তবে এখনও খেলা দুই পক্ষে আছে। সংখ্যায় দেখলে রান রেট কিন্তু খুব একটা বাড়ছে না। উইকেটে কুইক রান করা কঠিন। ওদিক থেকে ধরলে খেলা দুই পক্ষে আছে। কালকের দিনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’