শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার ভীষণ জরুরি। এসব খাবার তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে ধীরে ধীরে। অল্প অল্প করে হলেও এগুলো নিয়মিত রাখুন তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
ডিম : বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ৪৫ থেকে ৫৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ালে প্রোটিনের জোগান পূর্ণ হয়। এ ছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। আরও থাকে কোলিন নামক পুষ্টিকর উপাদান, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি।
ওটমিল: আরেকটি পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে ওটমিল। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল বাড়ন্ত শিশুদের শক্তি সরবরাহ করে।
দুধ: দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। শিশুর হাড় গঠনে কার্যকর এসব উপাদান।
পালং শাক: শিশুকে খাওয়াতে পারেন পালং শাক। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি এর চমৎকার উৎস এটি। এগুলো যেমন শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে, তেমনি মজবুত হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে।
মিষ্টি আলু: পুষ্টিকর খাবার হিসেবে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই। এতে থাকা ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ শিশুর বিকাশে অপরিহার্য।
পিনাট বাটার: সাধারণ মাখনের চাইতে পিনাট বাটার বেশি পুষ্টিকর। এতে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ২৮ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়।
দই: দই রাখতে পারেন শিশুদের খাদ্য তালিকায়। প্রতিদিন খানিকটা টক দই খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত হবে। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনে ভরপুর দই খাবার হজম করতেও সাহায্য করে।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া