ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল সংসদের সাবেক এজিএস ও হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের মামলায় একই সংগঠনের দুই কেন্দ্রীয় নেত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল জাহিদ ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সোমবার পিবিআইয়ের দেওয়া সেই প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
ছাত্রলীগের যেসব নেতা-কর্মীর নামে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন, সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জালাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক শেখ তানসেন এবং সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. এনামুল হক।
ফাল্গুনী দাস এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ফাল্গুনী দাসকে মারধর করেন বেনজীর হোসেন ও জিয়াসমিন শান্তা। ফাল্গুনীর অভিযোগ, মো. শাহ জালাল মারধরে সহযোগিতা করেন ও তার মুঠোফোন ছিনতাই করেন।
বেনজীর হোসেন নিশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জিয়াসমিন শান্তা ঢাবির শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ২৬ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন ফাল্গুনী দাস।