করোনার কারণে কত কিছুই না বদলে যায়। বদলে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের নানা নিয়ম কিংবা প্রথাও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ তথা বিপিএল চালু করার পর এর অন্যতম আকর্ষণই থাকতো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বলিউড-ঢালিউডি গ্ল্যামারে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতো বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিসিবিও চেষ্টা করতো বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে যতটা পারা যায় জাঁকজমকপূর্ণ করতে।
কিন্তু করোনার কারণে যেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করাই দায় হয়ে পড়েছে, সেখানে আবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! এবারের বিপিএলে তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না করার সম্ভাবনাই বেশি বিসিবির। আজ বিকেলে মিরপুরে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে মল্লিক বলেন, ‘আজ অনেক বোর্ড পরিচালক ছিলেন (সভায়), সভাপতি ছিলেন। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে একটু কঠিন। একদম না বলে দিচ্ছি না। তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
করোনার কারণে বিপিএল আয়োজনটাই হুমকির মুখে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব। তিনি বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে এবার একটু অনিশ্চয়তা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডে দল খেলতে পারবে কি না, করোনা ফলাফল কী হবে এসব বিবেচনা করতে হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতিই ছিল।’
নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করে আসার পর জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলতে পারবে কি না- তা নিয়ে একটু সংশয় আছে। বিশেষ করে তাদের বিশ্রাম প্রয়োজন। মল্লিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু গভর্নিং কাউন্সিল না। ৩-৪ দিন আগে বোর্ড সভাপতি আমাকে ও সোহেল ভাইকে (শেখ সোহেল) ডেকে বলেছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিশ্রাম চাইলে ২-৪ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হবে। এটা নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে কথা বলে আমরা ঠিক করে নিব।’
অন্যান্যবারের মত এবার কোনো আইকন খেলোয়াড় সিস্টেম রাখা হচ্ছে না। শুধুমাত্র গ্রেডিং করে দেয়া হচ্ছে। সব গ্রেড থেকেই ইচ্ছেমত খেলোয়াড় নিতে পারবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। বিসিবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘না, কোনো আইকন খেলোয়াড় থাকছে না। গ্রেডিং করে দিয়েছি, দেশিদের ক্ষেত্রেও বিদেশিদের ক্ষেত্রেও।’
বিপিএল চলাকালীন প্রতিদিন দুটা করে ম্যাচ খেলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। মল্লিক বলেন, ‘একটা ম্যাচ হয়ত দুপুর একটা থেকে দুইটায় শুরু করব, পরেরটি দুই-আড়াই ঘণ্টার বিরতি দিয়ে হবে।’
বিপিএল শুধু ঢাকায় নয়, অন্তত তিনটা ভেন্যুতে আয়োজনের চিন্তা বিসিবির। ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমরা তিনটা ভেনুই রাখছি- ঢাকা, সিলেট চট্টগ্রাম। তিনটি ভেন্যুতেই খেলা হবে।’
শুরুর দিনক্ষণ আগের সিদ্ধান্ত মতই ঠিক রাখা হচ্ছে, ‘নিউজিল্যান্ড থেকে ১৪ বা ১৫ তারিখ দল আসার কথা। ৪-৫ দিন খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু করার ইচ্ছা, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে ফেলব’- বলেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।