পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে আশেপাশের গ্রামগুলোতে গড়ে উঠেছে চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছে এলাকার কয়েকশ গরিব ও দুস্থ পরিবারের মহিলারা। আয় করছে মাসে ৬/৭ হাজার টাকা। এই পেশার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ৫/৬ হাজার মানুষ।
চুল ব্যবসায়ী দামুড়হুদার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের সাইদুর আলী জানান ,কয়েক বছর ধরে মেয়েদের মাথার আচড়ানো পর ফেলে দেয়া চুল এলাকায় মানুষ ফেরি করে কিনে বেড়াতো। বিশেষ করে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে কিছু চুল ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে পক্রিয়াজাত করে চুল বিদেশে পাঠানো হতো বলে শুনতাম। এখন সেই কাজটা আমরাই করছি।
বর্তমানে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা আশপাশ গ্রামগুলোতে গড়ে উঠেছে চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। চুয়াডাঙ্গা জেলার আশপাশ গ্রাম থেকে চুল সংগ্রহ করে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে নিয়ে আসছে খুচরো ব্যবসায়ীরা। এসব চুল হাতে করে সাট করে মালিকদের কাছে বিক্রি করছে তারা। চুল ব্যবসায়ীরা চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ করে, আবার বিক্রয় জন্য ঢাকায় পাঠাচ্ছেন ।
এ বিষয়ে কারখানার মহিলা শ্রমিক ফাতেমা বেগম জানান, আমি চুল সাট করে প্রতিদিন ১৫০/২০০ টাকা আয় করি এবং এ টাকা দিয়ে আমার সংসার ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ বহন করছি। আমার মতো অনেকেই এখানে কাজ করছে।
চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কমিটির সভাপতি শহিদ আলম বিশ্বাস জানান, চুল সাট করার জন্য ৪০ জন মহিলা শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করছে আমার কারখানায়। প্রতিদিন তারা ১৫০/২০০ টাকা আয় করছে।
তার মতে, দামুড়হুদার কার্পসডাঙ্গায় ১২টি স্থানে চুল সাট করা কাজ করে মহিলা শ্রমিকরা। এছাড়া চুল সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চুল সংগ্রহ করে বেড়াচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা চুল পাঠিয়ে দিচ্ছে আমাদের কাছে। ১ কেজি চুলের মূল্য ৫-৬ হাজার টাকা। এসব পেশায় জড়িত রয়েছে ১০-১২ হাজার পরিবার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চুল ব্যবসায় আরও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
পিবিএ/টিটি/এফএস