একদিনে মৃত্যু ১৫, শনাক্ত ১৪৮২৮

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব সূচকে করোনার ঊর্ধ্বগামী (নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতা) প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের ইপিডেমিওলজিক্যাল দ্বিতীয় সপ্তাহের (১০-১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত) তুলনায় তৃতীয় সপ্তাহে (১৭-২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত) নমুনা পরীক্ষা ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ, শনাক্ত ১৮০ দশমিক ৮ শতাংশ, সুস্থতা ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মৃত্যু ৮৮ দশমিক এক শতাংশ বেড়েছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইপিডেমিওলজিক্যাল দ্বিতীয় সপ্তাহে সর্বমোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ হাজার ১১ জন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ১ হাজার ৯৮৮ জন সুস্থ এবং ৪২ জনের মৃত্যু হয়। ইপিডেমিওলজিক্যাল তৃতীয় সপ্তাহে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৫ টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ হাজার ৪২৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে সুস্থ হন ৩ হাজার ৯৬৮ জন। এ সময়ে সর্বমোট ৭৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়।

পরিসংখ্যান অনুসারে, গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত ৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৭ জন ও নারী ২৩ জন। তাদের মধ্যে ৫১ জনই (৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ) টিকা নেননি। অবশিষ্ট ২৮ জন (৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ) টিকা নিয়েছেন। এ ২৮ জনের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ছয়জন ও ২২ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। গত একসপ্তাহে করোনায় মৃত ৭৯ জনের মধ্যে ৫২ জনের কো-মরবিডিটিতে ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে ভুগছিলেন। এছাড়া অনেকে বক্ষব্যাধি, হৃদরোগ, কিডনি, গ্যাস্ট্রোলিভার, স্ট্রোক এবং ক্যানসারে ভুগছিলেন।

অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন ও নারী ৬জন। সরকারি হাসপাতালে ১২ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২৮ জন। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ৯৯৮ জন।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৫৭ টি ল্যাবরেটরিতে ৪৫ হাজার ৯৯৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৫ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৭ টি। নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮২৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুইজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ৯০ বছরের বেশী বয়সী একজনের মৃত্যু হয়। বিভাগওয়ারী ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রামে একজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন...