শাবি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে রাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের অবস্থান কর্মসূচি

মনির হোসেন মাহিন, রাবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থন জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে বেলা ১১ টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকবৃন্দ হলেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ নকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শাওন উদ্দিন , গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শফিক রেজাসহ প্রমূখ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো শিক্ষক নেটওয়ার্কের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের উপর যে অনাচার ও সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত বিলম্বের যে ঘটনা ঘটছে তার জন্যে আজকে আমাদের অবস্থান। শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা, জাবি ছাত্রীদের অপমানজনক কথা বলায় আমি মনে করি শাবিপ্রবির উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাই আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানাই।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি তবুও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা, লাঞ্চনার অবসান করতে পারি নি। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে তাতে আমরা রাবি শিক্ষকরা খুবই শোকাবহ ও মর্মাহত। শাবি ভিসিকে নিয়ে আমরা সবাই পড়ে আছে কিন্তু ৩০ জন শিক্ষার্থী যারা ১৪০ ঘন্টা অনশনে আছে তাদর কথা কেউ ভাবছে না। কেন পদত্যাগ করছে না শাবি ভিসি? শাবি-তে কেন যাচ্ছে না শিক্ষামন্ত্রী ? এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার জন্য? সরকার চাইলে ১ ঘন্টায় এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। একজন শিক্ষার্থীর যদি ক্ষতি হয় তাহলে ছাত্র আন্দোলন যে কত ভয়াবহ তা আপনারা জানেন না। পঁচা শামুকে পা না দিয়ে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন।

পপুলেশন সায়েন্সের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ আমান বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রশ্নফাঁসে জড়িত,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নারী বিদ্বেষী(প্রমাণিত), তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেন্সিডিল খায়। সাস্টের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে ফ-তে ফরিদ,ফ-তে ফেন্সিডিল। এত অভিযোগ, এত লজ্জা নিয়ে তার পদে থাকার প্রয়োজনীয়তা আমার বোধগম্য নয়। সুষ্পষ্ট ভাবে আমরা চারটি দাবি জানাচ্ছি
১.নির্লজ্জ ভিসির পদত্যাগ চাই
২.৩০০ জন অজ্ঞাত শিক্ষার্থীদের নামে পুলিশী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৩.শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪.ছাত্রসংসদ নির্বাচন কার্যকর করে সিনেট পূর্ণাঙ্গকরণের মাধ্যমে গনতান্ত্রিকভাবে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।

 

আরও পড়ুন...