শীতকালে পালংশাকের যত উপকারিতা

পিবিএ, লাইফস্টাইল– পালং একটি শীতকালীন শাক। এই পালং হাজার হাজার বছর আগে তা চাষ করা হতো পারস্যে। প্রায় ১৫০০ বছর আগে চীনে পালং চাষ শুরু হয়। তারও কয়েকশো বছর পরে ইউরোপে যায় পালং।

পালং-কে একরকম ‘সুপার ফুড’ বলা যায়। এতে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস থেকে আরম্ভ করে পিগমেন্টস সবই আছে।

দৃষ্টিশক্তি
পালং শাক-এ আছে বিটা ক্যারোটিন, লিউটেনিন এবং জ্যানথিন। ভিটামিন এ-এর ডেফিসিয়েন্সি কমায় পালং শাক। চোখের শুষ্কতা দূর করতে, চোখের আলসার সারাতে কাজ করে। চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

ব্লাড প্রেশার
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে পালং শাক। উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম এবং অত্যন্ত সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম আছে পালং শাক-এ। এছাড়াও উপস্থিত ফোলেট হাইপারটেনশন কমায় ও রক্ত জালিকাকে রিল্যাক্স করে।

ক্যানসার প্রতিরোধী

পালং-এ উপস্থিত টোকোফেরল, ফোলেট ও ক্লোরোফাইলিন ক্যানসার প্রতিরোধে ও রোগীর চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। ব্লাডার, প্রস্টেট, লিভার ও ফুসফুসের ক্যানসারের প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় পালং-এর ভূমিকা প্রমাণিত।

ত্বকের সুরক্ষা

বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্স ও পিগমেন্টের উপস্থিতি ত্বককে ক্ষতিকর UV রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এবং ত্বকের ক্যানসারের প্রতিরোধ হিসেবেও কাজ করে।

মেটাবলিজম বাড়ায়

পালং-এ উপস্থিত বিভিন্ন ভিটামিনকে খুব সহজেই এনজাইম ভেঙে দিয়ে তৈরি করে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আমাদের বিভিন্ন ক্ষত নিরাময়ে, পেশির বৃদ্ধি ও সার্বিক মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে।

ডায়াবিটিস
পালং শাক-এ থাকা আলফা লিপোয়িক অ্যাসিড নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ও শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়।

অ্যাজমা প্রতিরোধ
পালঙে এমন কিছু পুষ্টিকর পদার্থ আছে যা অ্যাজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি হলো বিটা ক্যারটিন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানি আছে পালং শাক-এ। ফলে পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক-কে সুস্থ রাখে।

হাড়ের স্বাস্থ্য
পালং শাক-এ ভালো পরিমাণে ভিটামিন K থাকে। মজবুত হাড়ের গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন K। যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন K আমাদের খাদ্যতালিকায় থাকলে তা ক্যালশিয়াম সংগ্রহে সাহায্য করে এবং মূত্রের মাধ্যমে ক্যালশিয়ামের অতিরিক্ত বেরিয়ে যাওয়া আটকায়।

পিবিএ/এমটি/এএইচ

আরও পড়ুন...