পিবিএ ডেস্ক: বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল ল্যাগারফেল্ডের মতো তাঁর বিড়াল শপেটও ফ্যাশন দুনিয়ায় সুপরিচিত। ল্যাগারফেল্ডের মৃত্যুর পর বার্মিজ এই বিড়াল আবারও সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছে। প্রিয় বিড়ালকে তিনি কমপক্ষে ৩০ লাখ ইউরো (৩৪ লাখ মার্কিন ডলার) দান করে গেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। এই সম্পদের সুবাদে বিশ্বের শীর্ষ ধনী পোষা প্রাণীগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিতে যাচ্ছে শপেট।
গত মঙ্গলবার ৮৫ বছর বয়সে মারা যান জার্মানির নাগরিক ল্যাগারফেল্ড। তিনি ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাস করতেন। ২০ কোটি ডলারের সম্পদ রেখে গেছেন তিনি। এর একাংশের মালিক হতে চলেছে শপেট। মৃত্যুর অনেক আগে ল্যাগারফেল্ড বলেছিলেন, শপেটের জীবনযাত্রায় যেন কখনোই কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে ব্যবস্থা তিনি করে যাবেন। বিড়ালটির সব সময় দুজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী থাকবে। থাকবে দুজন কাজের লোকও।
শপেটকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন ল্যাগারফেল্ড। একবার তিনি বলেছিলেন, শপেট যদি তাঁর আগে মারা যায়, তাহলে বিড়ালটির দেহভস্ম সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এরপর ল্যাগারফেল্ডের মৃত্যুর পর তাঁর ও তাঁর মায়ের দেহভস্মের সঙ্গে শপেটের ভস্ম ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
আট বছর বয়সী শপেটকে ২০১১ সালে এক বন্ধুর কাছ থেকে একপ্রকার ‘তুলেই’ আনেন ল্যাগারফেল্ড। এরপর থেকে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠে শপেট। টেবিলে বসে রুপার থালায় খাওয়া, নরম বিছানায় ঘুমানো বিড়ালটির প্রতিদিনের অভ্যাস। তার প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে কাঁকড়া, রান্না করা স্যামন মাছ আর সামুদ্রিক মাছের ডিম।
বিড়ালটির ওপর শপেট: দ্য প্রাইভেট লাইফ অব আ হাই-ফ্লাইং ফ্যাশন ক্যাট শিরোনামে বইও রচিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিড়ালটির অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। জার্মানির একটি গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এবং জাপানের একটি প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে ল্যাগারফেল্ডের সঙ্গে শপেটকে দেখা গেছে।
পিবিএ/জেআই