পূর্ব শত্রুতার জেরে পোশাক শ্রমিক খুন, গ্রেফতার ৩

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম (২৪) কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. জুয়েল রানাকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আশুলিয়া থানার একটি হত্যা মামলার সুত্র ধরে র‌্যাব-১ উত্তরা ঢাকার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মো. জুয়েল রানা (২৭), আহম্মেদ রবি ওরফে রবিউল (২০) ও মো. রাজু মিয়া (২২) তিনজন কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা পোশাক শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম উজ্জল কে হত্যার দায় র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান,নিহত রাকিবুল ইসলাম ওরফে উজ্জল দীর্ঘদিন যাবৎ আশুলিয়া থানার ভাদাইল এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন ইপিজেডে প্যাক্সার বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করে আসছিল।

গত ১ জুলাই আনুমানিক সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় পোশাক শ্রমিক উজ্জল কে গ্রেফতারকৃত জুয়েল রানা (২৭) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাদাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জুয়েল রানা ও তার অপর সহযোগী আহম্মেদ রবি এবং মো. রাজু মিয়াসহ আরো অঞ্জাত ২/৩ জন মিলে লোহর রড ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে গুরুতর আহত করে রাকিবুলকে রেখে পালিয়ে যায়।

নিহত রাকিবুলের পরিবার খবর পেয়ে তাকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ নারী ও শিশু কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবুলের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তার ভাই তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অত:পর ভিকটিমের ভাই মো. সুজন মাহমুদ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

গত ৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম রাকিবুল ইসলাম ওরফে উজ্জল মৃত্যুবরণ করে।

র‌্যাবের জিঞ্জাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে ,নিহত রাকিবুলকে ডেকে আনার পর লোহার রড, কাঠের লাঠি, কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে জুয়েল রানার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল রানা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ভিকটিম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় ওই স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তারা বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে চলে যায়।

পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...