সাত পাক ঘোরার কথা, কিন্তু দুই পাক ঘুরে কনে সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন না। তাই মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যান। হাজারো বুঝিয়ে লাভ হয়নি তাকে। পরিবারের সদস্যদের কথাও রাখেননি তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বরে পক্ষের লোকজন!
এ ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের এটাওয়ার ভারথানায়। বর পছন্দ না হওয়ায় বিয়ের মাঝেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। কারণ হিসেবে তিনি জানান, বিয়ের আগে তাকে যে পাত্র দেখানো হয়েছে তিনি, আর বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে যিনি; এক নন।
গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এদিন রবি যাদব এবং মিতা যাদবের বিয়ের আসর বসে উত্তর প্রদেশের এটাওয়ার ভারথানায়। মালাবদলও হয়ে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু সাতপাকে বাঁধা অনুষ্ঠানের মাঝেই বেঁকে বসেন পাত্রী। দুই পাক ঘুরে বিয়ে করবেন না বলে মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। কোনোভাবেই রাজি করাতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যায় বরপক্ষ।
মিতা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন পাত্রের পরিবার। তাদের দাবি, বিয়ের আগে মিতাকে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পরেও এসব অলঙ্কার ফেরত দেওয়া হয়নি। এভাবে আচমকা বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না তারা। এ রকম প্রতারণার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তারা